৫ ঘণ্টা পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে যা জানালো বোর্ড | চ্যানেল আই অনলাইন

এখন থেকে ৫ ঘণ্টাব্যাপী নেয়া হবে সব পাবলিক পরীক্ষা। এমন খবর শুনে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ। সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এই খবর প্রচার হতে দেখা যায়। তবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে কী বলছে বোর্ড?

এ বিষয়ে কথা হয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এর সাথে। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, এই ধরনের একটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। এখনই কোন কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এর জন্য সময় লাগবে।

এর আগে, নতুন শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত মূল্যায়ন নিয়ে তুমুল সমালোচনার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার খসড়া চূড়ান্ত করে এনসিটিবি। জানা গেছে, রোববার ২৪ মার্চ শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে খসড়াটি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগের পদ্ধতিতে আর পরীক্ষা হবে না। এটিকে মূল্যায়ন বলা হচ্ছে।

ফরহাদুল ইসলাম বলেছেন, নতুন কারিকুলামে চলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা না নিয়ে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কারণ নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়া খুব একটা কার্যকর হবে না। তবে এটা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। মাত্রই এই প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এই নিয়ে আরও কয়েক দফায় আলোচনা হবে। তারপর যদি মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া যায়, তবে ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হবে নতুন এই নিয়ম।

খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিড টার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক চূড়ান্ত পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে।

উল্লেখ্য, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি সাধারণ বিষয় পড়তে হবে। এসএসসি পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রমের ওপর। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে। গত বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে এ নিয়ম। এর আলোকে ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা হবে।

Scroll to Top