রাত পোহালেই ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। এদিন মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাবেন- রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ অনেকেই। এ লক্ষে স্মৃতিসৌধ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। গত কয়েকদিনের মতো এই সাজসজ্জা দেখতে আজও স্মৃতিসৌধের সামনে ভিড় করছেন অনেকেই।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাত সারে আটটার দিকে স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে গিয়ে দেখা যায়- সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নানা পেশাজীবী মানুষ। কেউ বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন কেউবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। অনেকেই বর্নিল আলোক সজ্জার সামনে ক্যামেরা বন্দি করে নিচ্ছেন নিজেদের।
জামগড়া থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি এসেছেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ২৬ মার্চের যে একটা গুরুত্ব আছে, আমরা যদি আমাদের ফ্যামিলি নিয়ে না আসি তাহলে বাচ্চারা বুঝতে পারবে না যে এই দিনের একটা গুরুত্ব আছে। এই দিনে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। এজন্যই এখানে ফ্যামিলি নিয়ে আসা। আগামীকাল যেহেতু ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রপতিসহ বিভিন্ন লোকজন আসবে। অনেক লোকজন থাকবে অনেক ভিড় হবে এজন্য আগেই ফ্যামিলি নিয়ে এসে ঘুরে গেলাম।
বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. আখলাক ই রাসুল তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের যে স্বাধীনতা দিবস, মূলত এটা সূচনা কিন্তু আজকের এই রাত থেকে। ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজকে এখানে রাতে কেমন আলোকসজ্জা হচ্ছে, ২৬ মার্চের প্রস্তুতিটা শুরুটা কেমন, এখান থেকে মুক্তিযোদ্ধের সূচনা হয়েছিল, বন্ধুদের নিয়ে এটাই দেখতে আসা।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে একই প্রটোকলে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করবেন ভুটানের রাজা। বরাবরের মতই প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি এবং এরপরে প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে ফুল দিবেন ভুটানের রাজা। এরপরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে তিনি নাগেশ্বর চাপা ফুল গাছ রোপণ করবেন। এবং ভুটানের রাজা ওয়াংচুক সবার আগে সৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করবেন, তারপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সবশেষে রাষ্ট্রপতি। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জনসাধারণের জন্য সৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ মোতায়েনসহ আমাদের বড় একটি টিম কাজ করবে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় আমাদের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তায় কাজ করবে। এর বাইরে এ বছর ড্রোন দ্বারা পুরো এলাকার পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে।