Last Updated:
Mamata Banerjee: রাজ্য আগেই তার অবস্থান স্পষ্ট করেছে। গত বৃহস্পতিবারই ওয়াকফ বিল প্রসঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের একাধিক ত্রুটি তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই বিলটির মাধ্যমে ২৬ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ও ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার লঙ্ঘিত করা হয়েছে। এই কারণে…আরও পড়ুন

কলকাতা: গত বৃহস্পতিবারই ওয়াকফ বিল প্রসঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এই বিলের একাধিক ত্রুটি তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই বিলটির মাধ্যমে ২৬ নম্বর ধারায় প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার ও ১৪ নম্বর ধারায় সাম্যের অধিকার লঙ্ঘিত করা হয়েছে। এই কারণে আমরা এই বিলটির কঠোর প্রতিবাদ করছি। এই বিল এইভাবে নিয়ে এসে রাজ্য বিধানসভাকেও অপমান করা হয়েছে।”
মমতা স্পষ্ট করে বলে দেন, বাংলায় বুলডোজার নীতি চলবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ওয়াকফ সম্পত্তিতে শুধু মুসলিমরা দান করে, তা নয়। অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও দান করে। অনেক উন্নয়নের কাজ হয়। তাঁদের কি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে এই বিলে এনে?”
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তি কতটা দখলমুক্ত হয়েছে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট একটা অর্ডার দিয়েছে। বুলডোজার দিয়ে সম্পত্তি ভাঙা যাবে না। এখানে ওয়াকফ সম্পত্তি দখলমুক্ত করার জন্য বোর্ড নোটিস দিয়েছে ওয়াকফ আইনের আওতায় ১৫৫ টা কেস হয়েছে। এইগুলো ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।”
সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শোভানদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধান সভা রুল ১৬৯-এর অধীনে স্পিকারের কাছে নোটিশ দিয়েছেন যাতে এই বিলটি প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্র সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে রেজোলিউশনের উপর আলোচনা করা হয়। নরেন্দ্র মোদির সরকার যে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (২০২৪) এনেছে, তার প্রতিবাদে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলকে সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের আনা ওয়াকফ সংশোধনী বিল এখন যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে রয়েছে। ওই কমিটিরই সদস্য কল্যাণ।
ওয়াকফ বিল নিয়ে বিধানসভায় সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর অভিযোগ, ওয়াকফ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি কেন্দ্র। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রয়েছে, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মমতা জানিয়েছিলেন, এই বিলের বিরোধিতা করবেন তাঁরা।
রাজ্য বিধানসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। স্পষ্ট জানালেন, নিয়ম অনুযায়ী, নতুন কোনও বিল আনতে গেলে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করেনি। বরং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির আকারে সেটি বের করা হয়। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানা যায়। এর পর সংসদে তাঁদের সাংসদরা প্রতিবাদ জানান। এর পর যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি করতে বাধ্য হয় কেন্দ্র।
মমতা সাফ জানিয়েছেন, এই ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ওয়াকফ সম্পত্তি দখল হয়েছে বলে আগেও অভিযোগ এসেছে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ওয়াকফ সম্পত্তি দখল হয়েছে বলে নজির নেই পশ্চিমবঙ্গে। এর সপক্ষে একটি তালিকাও পেশ করেন মমতা, যাতে কোন কোন জায়গায় নতুন করে ওয়াকফ সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে, তার বিশদ তথ্য ছিল।
Kolkata,West Bengal
December 02, 2024, 9:05 AM IST