Bike Tyre : টায়ারে পেরেক ঢুকে পাংচার! চিন্তা নেই, এই ‘ম্যাজিক তরল’ ব্যবহার করলেই সমস্যার সমাধান

Bike Tyre : টায়ারে পেরেক ঢুকে পাংচার! চিন্তা নেই, এই ‘ম্যাজিক তরল’ ব্যবহার করলেই সমস্যার সমাধান

Last Updated:

Tyre Puncture – কিন্তু এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর তা-ও অত্যন্ত সস্তায়। একটি উপায় অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে নিমেষে মিলবে নিষ্কৃতি।

News18Bike Tyre : টায়ারে পেরেক ঢুকে পাংচার! চিন্তা নেই, এই ‘ম্যাজিক তরল’ ব্যবহার করলেই সমস্যার সমাধান
News18

কলকাতা: টু-হুইলার কিংবা ফোর-হুইলার যাঁরা চালান, তাঁদের সব সময় একটাই উদ্বেগ থাকে। আর সেটা হল – টায়ার বারবার পাংচার হয়ে যাওয়া। আর টায়ার পুরনো হলে তা পাংচার হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আর তা-ও অত্যন্ত সস্তায়।

একটি উপায় অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে নিমেষে মিলবে নিষ্কৃতি। আসলে আমরা এখানে অ্যান্টি-পাংচার লিক্যুইড কেমিক্যালের কথা বলছি। টিউবলেস টায়ারের ভিতরে এই রাসায়নিক প্রয়োগ করা হলে বারবার পাংচারের সমস্যা আর থাকবে না।  এই রাসায়নিক তরলটি টায়ারের ভিতরের সুরক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এমনকী টায়ারের মধ্যে যদি তীক্ষ্ণ কোনও বস্তু কিংবা রড প্রবেশ করলেও এই তরল রাসায়নিকটি ছিদ্রটিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে বারবার বাতাস বেরিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কারও গাড়ির টায়ার ১০-১৫ বার পাংচার হয়ে যায়, তাহলে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু টায়ারে ঢেলে দিতে হবে আধ লিটার অ্যান্টি-পাংচার লিক্যুইড। কিন্তু মাথায় রাখা আবশ্যক যে, এটি কেবল টিউবলেস টায়ারের জন্যই কাজ করে। এরপরে ৭-১২ মাসের জন্য আর চিন্তা করতে হবে। আর সেই সঙ্গে পাংচারের সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যাবে।

পাংচার মেরামতকারীরা কী বলেন?

বিহারের সমস্তিপুর জেলার পাটোরি ব্লকের বাসিন্দা প্রিন্স কুমার বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে পাংচার মেরামতের কাজ করছেন। Local 18 টিমের কাছে তিনি বলেন যে, ১০-১২ বার টায়ার পাংচার হয়ে গেলেই অনেকেই সেটিকে অকেজো বলে গণ্য করেন। তারপরেই তাঁরা নতুন টায়ার কিনে নেন। তাই পুরনো টায়ারে অ্যান্টি-পাংচার লিক্যুইড ঢেলে দেওয়া হলে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা যেতে পারে। সেটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য!

তিনি আরও বলেন, এই তরলটি টিউবলেস টায়ারে ঢেলে দিতে হবে। আর যখনই কোনও পেরেক, পাথর, তার বা কোনও ধারালো বস্তু টায়ারে প্রবেশ করে, তখনই এই তরলটি সেই জায়গাটি সিল করে দেয়। বিশেষ বিষয়টি হল, এর জন্য কোনও মেশিন কিংবা পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে না। টায়ারে ওই তরল ঢেলে দিলে টায়ার আবার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করবে এবং কোনও সমস্যাই থাকবে না।

ব্যবহারের উপায়:

এই তরল ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্রথমে টায়ার খুলতে হবে। এরপর ভালভ খুলে তরলটি ঢেলে আবার তা বন্ধ করে দিতে হবে। স্থানীয় বাজার এমনকী অনলাইনেও পাওয়া যায় এই তরল রাসায়নিকটি। বারবার টায়ার পাংচারের সমস্যা দেখা দিলে নতুন টায়ার কিনতে হবে না। বরং এই তরলটির দিয়ে তা মেরামত করার একবার চেষ্টা করে দেখতে হবে।

Scroll to Top