গ্রহণযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

গ্রহণযোগ্যতাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ

এখানে বিরোধী দল বলে আসলে কিছু নেই। ক্ষমতাসীন দলটি নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখানোর জন্য নৌকা ও স্বতন্ত্র ডামি প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধ চালানোর যে কৌশল নিয়েছে, তা নির্বাচনী মাঠে সংঘাত-সংঘর্ষও বাড়িয়ে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থানে শতাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যাতে কয়েকজনের প্রাণহানি ও বহু মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে যে নির্বাচন হয়ে থাকে, এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি অংশ না নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তা অনেকটা অনুপস্থিত। একদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো ভোটারদের কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে ভোট বর্জনকারী দলগুলো জনগণের প্রতি ভোটারদের কেন্দ্রে না আসার আহ্বান জানাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে হয়। সরকার ও সরকারি দলের মধ্যেই এ নিয়ে আলোচনার কথা শোনা যাচ্ছে।

নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ৬ ও ৭ জানুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করেছে। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সহযোগিতা করতে বাধ্য। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও দু–একটি ব্যতিক্রম ছাড়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে শক্ত ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।

Scroll to Top