হানিফের রেকর্ড–ভাঙা ম্যাচের পরের সপ্তাহেই করাচিতে কায়েদ-ই আজম ট্রফির ফাইনালে আবদুল আজিজের মর্মান্তিক মৃত্যু। ব্যাটিংয়ের সময় আচমকা লাফিয়ে ওঠা বল লেগেছিল বুকে। তাৎক্ষণিকভাবে যেটির ভয়াবহতা বোঝা যায়নি। পরের বলটি খেলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হঠাৎই মাঠে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই সব শেষ। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সম্ভাবনাময় একটা জীবনের কী করুণ সমাপ্তি! আজিজের বুকে যে বলটি লেগেছিল, সেটি কোনো ফাস্ট বোলারের হাত থেকেও বেরোয়নি। সেটি করেছিলেন দিলদার আওয়ান নামে এক অফ স্পিনার। ব্যাখ্যা হতে পারে একটাই, আজিজের হৃদযন্ত্রে আগে থেকেই হয়তো অচিহ্নিত কোনো সমস্যা ছিল।
করাচির এক পেশ ইমামের ছেলে আবদুল আজিজের আরও দুই ভাই ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলেছেন, আবদুল কাদির নামে এক ভাই টেস্ট ক্রিকেটও। যে ম্যাচে আবদুল আজিজের অমন করুণ মৃত্যু, হানিফ মোহাম্মদও খেলেছেন সেই ম্যাচে। সেঞ্চুরিও করেছেন। ভুল বোঝাবুঝির রান আউটে ৫০০ করতে না পারার দুঃখে অনেকটাই প্রলেপ পড়েছে ততদিনে। আবদুল আজিজের মৃত্যুর পর সেটির আর অস্তিত্বই থাকেনি। মৃত্যুর যে ছোটখাট দুঃখ ভুলিয়ে দেওয়ার অসীম ক্ষমতা!