রাজস্থানের চুরুতে বিমান বাহিনীর জাগুয়ার ফাইটার জেট বিধ্বস্ত হয়ে এতে প্রশিক্ষণ অভিযানে থাকা দুই পাইলটের একজন নিহত হন।
বুধবার ৯ জুলাই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গত ২ এপ্রিল বুধবার রাজস্থানের চুরু জেলার ভানোদা গ্রামের কাছে জাগুয়ার ফাইটার জেটটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর একজন বিমান বাহিনীর পাইলট নিহত হন। আরও দুজন (সম্ভবত বেসামরিক ব্যক্তি) আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিরক্ষা সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, যে বিধ্বস্ত বিমানটি একটি টুইন সিটার ছিল। তবে দ্বিতীয় পাইলটের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। বিমান বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে বলেও জানা যায়।
এটি এই বছরের তৃতীয় জাগুয়ার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনা ছিল। প্রথমটি ৭ মার্চ হরিয়ানার পঞ্চকুলায় এবং দ্বিতীয়টি ২ এপ্রিল গুজরাটের জামনগরের কাছে ঘটে।
এই বিশেষ বিমানটি রাজস্থানের সুরতগড় বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল।
জাগুয়ার হল একটি একক এবং দ্বি-সিটের দুটি ইঞ্জিনের যুদ্ধবিমান। এর ভিনটেজ অবস্থা সত্ত্বেও বিমান বাহিনী দ্বারা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই বিমানগুলি বছরের পর বছর ধরে ব্যাপকভাবে আপগ্রেড করা হয়েছে।
ভারতের আনুমানিক ১২০টি জাগুয়ার ফাইটার জেট রয়েছে যা ছয়টি স্কোয়াড্রনে বিস্তৃত এবং বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।
এপ্রিল মাসে গুজরাটে বিধ্বস্ত বিমানটি ছিল দুটি আসন বিশিষ্ট ছিল। এতে প্রশিক্ষনরত একজন পাইলট ছিলেন সিদ্ধার্থ যাদব যিনি অন্যজনের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন।
যুদ্ধবিমানটি একটি প্রশিক্ষণ মিশনের সময় কারিগরি ত্রুটির সম্মুখীন হওয়ার পর একটি খোলা মাঠে বিধ্বস্ত হয়। যাদব নিশ্চিত করেন যে তার সহ-পাইলট সময়মতো বেরিয়ে আসেন এবং সামান্য আঘাত পান। দুর্ভাগ্যবশত যাদব সময়মতো জেট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। তবে এই দুর্ঘটনায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়ানো গেছে বলে জানা যায়।
জাগুয়ার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলটের সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব তার ছেলের প্রতি তার গর্বের কথা জানিয়েছেন। তিনি এনডিটিভিকে বলেন, “আমি খুব গর্বিত। অন্য একজনকে বাঁচাতে গিয়ে সে তার জীবন হারিয়েছে। তবে এটি দুঃখের বিষয় কারণ সে আমার একমাত্র ছেলে ছিল।”