‘ভারতের দ্রুত অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্র’

‘ভারতের দ্রুত অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না যুক্তরাষ্ট্র’

মার্কিন শুল্ক নীতির তীব্র সমালোচনা করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে কটাক্ষ করে কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার অভিযোগ, কিছু দেশ ও তাদের নেতারা ভারতের দ্রুত অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না। ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুও একইধরণের মন্তব্য করেছেন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মন্ত্রী রাজনাথ মজার ছলে ট্রাম্পকে ‘সবকে বস’ (সবার বস) বিশেষায়িত করে বলেন, ‘তারা আমাদের উন্নতিতে খুশি নন। সবকে বস তো আমরাই, নাহলে ভারত এত দ্রুত এগোচ্ছে কীভাবে? তাদের এই উন্নতি হজম হচ্ছে না।’

শনিবার (১০ আগস্ট) মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার উমারিয়া গ্রামে বিএইএমএলের ‘ব্রহ্মা’ রেল হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাজনাথ সিং।

এ সময় তিনি বলেন, ‘এখন এমন চেষ্টা চলছে যাতে ভারতের তৈরি পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিদেশি বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেওয়া যায়।’

তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য একটাই- অন্য দেশগুলো যেন ভারতীয় পণ্য কিনতে অনাগ্রহী হয়। কিন্তু আমি সবাইকে আশ্বস্ত করছি- ভারতের উন্নতির গতিকে থামাতে কোনো বৈশ্বিক শক্তিই পারবে না। ভারত সুপারপাওয়ার হবেই।

অন্যদিকে, ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উন্নতি হজম করতে পারছে না। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লেও কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে কোনও আপস করবে না ভারত। এমনকি জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত বাইরের চাপ উপেক্ষা করেই এগোবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

নাইডু বলেন, ভারত দ্রুত এগোচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে ‘স্বীকৃতি’ পাচ্ছে— যা কিছু দেশের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ভাষায়, ‘তারা আমাদের উন্নতি হজম করতে পারছে না। তাদের হজমে সমস্যা হচ্ছে।’

ভারত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছাচ্ছে উল্লেখ করে নাইডু আশা প্রকাশ করেন, কৃষক, গবেষক ও তরুণদের অবদানে দেশ আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, মিত্র দেশ ভারতের ওপর বেছে বেছে শুল্ক আরোপ কতটা ন্যায্য, যখন যুক্তরাষ্ট্র এখনো (রাশিয়া থেকে) ইউরেনিয়াম ও সার আমদানি করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনে।

তার দাবি, ‘আমরা বন্ধু ছিলাম। আমরা সবসময় আমেরিকাকে শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা প্রাচীনতম গণতন্ত্র আর আমরা বৃহত্তম গণতন্ত্র। আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোনো উসকানি বা কারণ ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।’

Scroll to Top