নিজদের একাধিক রেকর্ড ভাঙার ম্যাচে কোহলিদের হারাল হায়দরাবাদ | চ্যানেল আই অনলাইন

আইপিএলের চলতি আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দলীয় সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিজেদের গড়া সেই রেকর্ড ভেঙেছে দলটি। রানতাড়ায় হাল ছাড়েনি বেঙ্গালুরু। তবে ঘরের মাঠে ২৫ রানে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে তাদের।

সোমবার রাতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা হায়দরাবাদ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের রেকর্ড স্কোর পায়। হাল না ছাড়া বেঙ্গালির ৭ উইকেটে ২৬২ রানে থামে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচটিতে হয়েছে মত ৫৪৯ রান।  আইপিএলে তো বটেই, স্বীকৃত টি-টুয়েন্টিতেই এটি এক ম্যাচে সর্বাধিক রানের নতুন রেকর্ড। গত ২৮ মার্চ মুম্বাই ও হায়দরাবাদের ম্যাচে হয়েছিল ৫২৩ রান। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে সাউথ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ৫১৭ রান। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সেই রেকর্ড ভেঙ্গেছিল হায়রাবাদ।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

আইপিএলে দলীয় সর্বাধিক রানের রেকর্ডও গড়েছে হায়দরাবাদ। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে হায়দরাদের ৩ উইকেটে ২৭৭ রান ছিল সর্বোচ্চ।

সবধরনের টি-টুয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। টি-টুয়েন্টিতে সর্বাধিক স্কোর নেপালের দখলে। গত বছর এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে হিমালয়ের দেশটি ৩ উইকেটে ৩১৪ রানের এভারেস্টে চড়েছিল।

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিতে আইপিএলের কোনো এক ম্যাচে সর্বাধিক ৩৮টি ছক্কার নতুন রেকর্ডও হয়েছিল। সেটিতেও ভাগ বসিয়েছে এই ম্যাচ। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও ৩৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছে দুদল মিলে।

হায়দরাবাদের পাহাড় সমান স্কোর গড়ার পথে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ট্রাভিস হেড। ৪১ বলে ১০২ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ৮টি ছক্কার মার। ঝড় তুলেছেন হেইনরিখ ক্লাসেন, অভিষেক শর্মা, আব্দুল সামাদ ও এইডেন মার্করাম।

দুটি চার ও সাত ছক্কায় ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ক্লাসেন। দুটি করে চার ও ছক্কায় ২২ বলে ৩৪ রান করেছেন অভিষেক শর্মা। এইডেন মার্করাম করেন ১৭ বলে ৩২ রান। তার ইনিংসেও ছিল দুটি করে চার ছক্কার মার। চারটি চার ও তিন ছক্কায় ১০ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ক্যামিও উপহার দেন আব্দুল সামাদ।

স্বাগতিকদের হয়ে লোকি ফার্গুসন দুটি এবং রিচি টপলে একটি উইকেট নেন।

রানতাড়ায় ভালোই শুরু পেয়েছিল বেঙ্গালুরু। দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও পেপ ডু প্লেসিস মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৮০ রান। ৬.২ ওভারে কোহলি ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ছয়টি চার ও দুই ছক্কায় ২০ বলে ৪২ রান করেন কোহলি।

ডু প্লেসিস এক প্রান্তে তাণ্ডব চালালেও অন্যপ্রান্তে আরও তিন ব্যাটারকে হারায় বেঙ্গালুরু। উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার ও সৌরভ চৌহান ফিরে যান ব্যর্থ হয়ে। ১৩১ রানে প্লেসিসের উইকেটও হারায় স্বাগতিক দল। ৭টি চার ও চারটি ছক্কায় ২৮ বলে ৬২ রান করেন প্রোটিয়া ব্যাটার।

পরে ঝড় তোলের দিনেশ কার্তিক। সাতটি ছক্কা ও পাঁচ চারে ৩৫ বলে ৮৩ রান করে ফিরে যান ইনিংসের সাতবল বাকী থাকতে। এছাড়া অনুজ রাওয়াত ১৪ বলে ২৫ রান ও মহিপাল লৌমরর ১১ বলে ১৯ রান করেন।

হায়দরাবাদের হয়ে প্যাট কামিন্স তিনটি, মায়াঙ্ক মাকান্দে দুটি এবং নাতারাজন একটি উইকেট নেন।

Scroll to Top