জি এম কাদেরের প্রতিটি বিষয়ে স্বৈরাচারী মনোভাব: ‍আনিসুল ইসলাম মাহমুদ | চ্যানেল আই অনলাইন

জি এম কাদেরের প্রতিটি বিষয়ে স্বৈরাচারী মনোভাব: ‍আনিসুল ইসলাম মাহমুদ | চ্যানেল আই অনলাইন

জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, জি এম কাদেরের প্রতিটি বিষয়ে স্বৈরাচারী মনোভাব।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে সোমবার বিকেলে জাপার কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় সব পদবি থেকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হককে অব্যাহতি দেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

অন্যদিকে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে দলের মহাসচিব করার ঘোষণা করা হয়। গত এক সপ্তাহে মোট ১১ জন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে দলটিতে অস্থিরতা চলছে।

আগামীকাল বুধবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মো. মুজিবুল হক (চুন্নু) বলেছেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে দলের নেতাদের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তারা জি এম কাদেরের সিদ্ধান্ত মানেন না এবং তারা দলের কাউন্সিলে অংশ নেবেন বলেও জানান।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে এমন স্বৈরাচারী ধারা থাকতে পারে না। এর মাধ্যমে দলে যে কাউকে যুক্ত করা ও বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান একাই সিদ্ধান্ত নেন, এটি বাতিল করতে হবে।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, জাপার তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ অসুস্থ থাকা অবস্থায় জি এম কাদের তার কাছ থেকে জোর করে দলের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন।

মুজিবুল হক বলেন, দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের ২৮ জনকে পদোন্নতি দিয়েছেন। অথচ মহাসচিব হিসেবে তিনি তা জানেন না। তিনি আরো বলেন, জি এম কাদেরের চেয়ে কোনো অংশে তার যোগ্যতা কম নয়। তিনি যখন সংসদ সদস্য ছিলেন, তখন জি এম কাদের একটি বেসরকারি কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। একমাত্র এইচ এম এরশাদের ভাই বলে তাকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিয়েছেন।

মুজিবুল হক বলেন, ‘আমরা জাতীয় পার্টি ছাড়ব না। আমরা জাতীয় পার্টি ভাঙতে দেব না। আমাদের অবদান দলের জন্য সবচেয়ে বেশি। আমরা কাউন্সিলে যাব, সেখানে আমাদের কথা গ্রহণ না করলে এরপর আর কথা থাকবে না বলেও জানান তিনি।

 

 

Scroll to Top