কলম্বিয়ার মাঠে আগের ম্যাচে জয় পায়নি আর্জেন্টিনা। এবার আলবিসেলেস্তেদের ঘরের মাঠে দেখাতেও জয় পেল লিওনেল স্কালোনির দিল। ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসি বাহিনীর। তবে এই ড্রয়ে অবশ্য কোনো ক্ষতি হয়নি বিশ্বজয়ীদের, কারণ ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট আগেই নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
এস্তাদিও মনুমেন্তালে বুধবার ভোরে কলম্বিয়ার সঙ্গে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। পরে থিয়াগো আলমাদার গোলে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দল। কলম্বিয়ার হয়ে গোলটি করেন লুইস দিয়াজ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়ার সঙ্গে ২-১ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। তাই এই ম্যাচটা আর্জেন্টিনার জন্য ছিল প্রতিশোধের। আগের ম্যাচে বদলি নামা মেসি এই ম্যাচে ছিলেন শুরু থেকেই। কিন্তু মেসিকে নিয়েও কলম্বিয়ার বিপক্ষে সংগ্রাম করতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। লম্বা সময় পর্যন্ত পিছিয়েও ছিল তারা।
২৪ মিনিটে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন দিয়াজ। সতীর্থ কেভিন কাস্তানোর কাছ থেকে মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় বল পান লিভারপুল তারকা। এরপর বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে দুর্দান্ত এক শটে আর্জেন্টিনার জালে বল পাঠান তিনি।
এর ছয় মিনিট পর আর্জেন্টিনা প্রায় সমতা ফিরিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু বল জালে জড়ানোর পর রেফারি অফসাইডের পতাকা উড়ালে হতাশ হতে হয় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। বিরতির আগে আরও কয়েকবার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত গোল পায়নি আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণে যায় তারা। কিন্তু স্বাগতিকদের বিপদ বাড়ে ৭০ মিনিটে এনজো ফের্নান্দেজ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করেই মূলত এই কার্ডটি দেখেন চেলসি মিডফিল্ডার।
১০ জনের দলের দলে পরিণত হলেও আর্জেন্টিনা অবশ্য হাল ছাড়েনি। ৭৭ মিনিটে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে থাকা অবস্থাতেই মেসিকে তুলে নেন স্কালোনি। তার বদলে মাঠ নামেন ইজিকুয়েল পালাসিও। ৮১ মিনিটে দারুণ এক শটে গোল করে সমতায় ফেরান আলমাদা। তাতে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দুদলের।