জর্ডানে ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষেও ড্র করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দল দুটি অনেক এগিয়ে থাকলেও দুদলকে রুখে দেয়াতে বেশ খুশি কোচ পিটার জেমস বাটলার। ম্যাচ শেষে জাতীয় দলের কোচ গর্বের সুরে বললেন, দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন ঋতুপর্ণা-আফিদা-রিপারা।
আম্মানের কিং আব্দুল্লাহ-২ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার জার্ডানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। আগে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে করে গোলশূন্য ড্র। এবার জালের দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা। জর্ডানের গোল দুটি করেছেন মাইশা জেবারাহ ও বানা বিতার।
বছর চারেক আগে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে জর্ডানের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার ৫-০তে বিধ্বস্ত হয়েছিল লাল-সবুজের দল। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী দলটিকে রুখে দিয়েছেন কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
ম্যাচ শেষে বাফুফের ভিডিও বার্তায় ইংলিশ কোচ বাটলার বলেছেন, ‘এই সপ্তাহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে, সেটা হচ্ছে এই মেয়েদের মানসিক দৃঢ়তা, দলের প্রতি তাদের নিবেদন, নিষ্ঠা, আমি তাদের নিয়ে ভীষণ গর্বিত। কোচিং স্টাফসহ সবাই আসলেই কঠোর পরিশ্রম করেছে, আজ রাতে আমরা অনেক অনেক দৃঢ়তাপূর্ণ একটা দলকে, মেয়েদেরকে দেখলাম।’
‘বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে, এমন একটা কন্ডিশনে খেলা কঠিন, শেখার জন্য দারুণ একটা সপ্তাহ ছিল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলা সহজ ছিল না। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আমরা প্রথম খেললাম, তুলনামূলকভাবে তাদের চেয়ে ভালো ছিলাম। চমৎকার ফুটবল খেলেছিলাম।’
‘জর্ডানের বিপক্ষেও দারুণ খেলেছে মেয়েরা। আমার মনে হয়েছে, একটা সময় আমরা ওদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলাম। যদিও শারীরিকভাবে তারা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। আমরা ভালো খেলেছি। যে পরিচয়ে, সে ধাঁচে আমরা খেলতে চেয়েছি, সেটা আমরা পরিষ্কারভাবে পেয়ে গেছি। মনে করি, কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান একটা সময় পাওয়াই যায়। আমি সত্যিই এই মেয়েদের নিয়ে গর্বিত।’