অটোয়া, ০২ জুন – লটারির টিকিট কিনেছিলেন কানাডার লরেন্স ক্যাম্পবেল। পকেটের মানিব্যাগটা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই টিকিটটা রাখতে দিয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকা ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাকের কাছে।
দেখা গেলো সেই লটারি জিতে নিয়েছে ৫০ লাখ কানাডিয়ান ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৪৪ কোটিরও বেশি। প্রেমিক যুগল গেলেন পুরস্কার আনতে। সেখানে ঘটল বিপত্তি। লরেন্সের বৈধ কাগজপত্র নেই। তাই পুরস্কার দাবি করা সম্ভব ছিল না। লরেন্স টিকিটের মালিক করে দিলেন প্রেমিকা ম্যাককে। ম্যাকের একাউন্টে জমা হয়ে গেল পুরস্কার জেতার সব টাকা। গল্পটা এতটুকু হলে ঠিক ছিল। সমস্যা হচ্ছে, একাউন্টে টাকা চলে যাওয়ার পর ম্যাক এবার তাঁর প্রেমিক লরেন্সের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন। ব্লক করে দিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রেমিকের লটারির পুরো টাকাটা নিয়ে প্রেমিকা চম্পট। লরেন্স আবিষ্কার করলেন প্রেমিকা একা পালায়নি। তিনি প্রেম করছেন আরেকজনের সাথে। সেই প্রেমিককে নিয়েই পলায়ন!
কানাডার সংবাদমাধ্যম ধরে এ নিয়ে সংবাদ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম। লরেন্স এখন আদালতে শরণাপন্ন হয়েছেন।
গত বছর ‘ওয়েস্টার্ন কানাডা লটারি কর্পোরেশন’ এর লটারির টিকিট কিনেছিলেন লরেন্স। সেই লটারিই জেতে প্রথম পুরস্কার। কিন্তু জেতা টাকা হাতে পেতে সমস্যায় পড়েন লরেন্স। বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় তিনি নিজে পুরস্কার দাবি করতে পারছিলেন না। ওই লটারি কোম্পানির এক কর্মকর্তার পরামর্শে লরেন্স তাঁর প্রেমিকা ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককে নিয়ে যান। লরেন্স দাবি করেন, লটারি জিতেছিলেন তাঁর প্রেমিকা। অগত্যা প্রেমিকার ব্যাংক একাউন্টেই টাকাটা জমা পড়ে।
লরেন্সের দাবি, সব ঠিকঠাকই ছিল। লটারির সঙ্গে ছবিও তোলেন প্রেমিক যুগল। এরপর হঠাৎ লরেন্সের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ম্যাক।
লরেন্স বলেন, ‘জানতে পারলাম অন্য একজনের সাথে তাঁর সম্পর্ক হয়েছে, তার সাথেই থাকছে।’
এদিকে ম্যাককে খুঁজে বের করে টাকা দাবি করেন লরেন্স। কিন্তু লটারির টাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেন ম্যাক।
টাকা আদায়ে এবার আদালতে গেলেন লরেন্স। সেখানেও ম্যাকের আইনজীবী জানিয়ে দেন তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা!
সূত্র: বার্তা২৪.কম
আইএ/ ০২ জুন ২০২৫
