বিনোদন ডেস্ক : নাটকের দাপুটে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। যা দেশের ২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ২০ ডিসেম্বর।
এর আগেই শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত সিনেমাটি দেশের বাইরে ‘কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’ ও ভারতের ‘গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ অফিসিয়ালি প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। উৎসবে ঘুরে আসার পর এবার দেশের দর্শকের জন্য একযোগে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।
প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটি চলবে স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি মল, ঢাকা), স্টার সিনেপ্লেক্স (সীমান্ত সম্ভার, ঢাকা), স্টার সিনেপ্লেক্স (এসকেএস টাওয়ার, ঢাকা), স্টার সিনেপ্লেক্স (সনি স্কয়ার, ঢাকা), স্টার সিনেপ্লেক্স (বিজয় সরণি, ঢাকা), স্টার সিনেপ্লেক্স (বালি আর্কেড, চট্টগ্রাম), ব্লকবাস্টার সিনেমাস (যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকা), লায়ন সিনেমাস (জিঞ্জিরা), শ্যামলী সিনেমা হল (ঢাকা), সিনেস্কোপ সিনেমা (নারায়ণগঞ্জ), গ্র্যান্ড সিলেট মুভি থিয়েটার (সিলেট), গ্র্যান্ড রিভিউ মুভি থিয়েটার (রাজশাহী), মধুবন সিনেপ্লেক্স (বগুড়া), আনন্দ সিনেমা হল (ঢাকা), বিজিবি সিনেমা হল (ঢাকা), মডার্ন সিনেমা হল (দিনাজপুর), বনলতা সিনেমা (ফরিদপুর), সুগন্ধা সিনেমা হল (চট্টগ্রাম), স্বপ্নীল সিনেপ্লেক্স (কুষ্টিয়া) ও মম ইন সিনেমা হল (বগুড়া)।
বলা প্রয়োজন, ‘প্রিয় মালতী’ যাপিত জীবনের গল্প। সিনেমায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত লড়াকু নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। সিনেমায় তার নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন-মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে নৌকায় ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় একটু ঘোরাঘুরি, মালতীকে অবাক করে দিয়ে পলাশের উপহার দেয়া, স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি– সবকিছুই চলছিল সুন্দর ছন্দে। হঠাৎ একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেশের প্রেক্ষাগৃহে অভিষিক্ত হচ্ছেন মেহজাবীন। তিনি জানান, শুরু থেকেই দর্শকরা তার পাশে ছিলেন। যখন মেহজাবীন নতুন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সব কাজই দর্শক গ্রহণ করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন। দর্শকদের ভালোবাসার জন্যই মেহজাবীন এতদূর আসতে পেরেছেন বলে জানান অভিনেত্রী। বিশ্বাস করেন, প্রেক্ষাগৃহের কাজটিও দর্শক পছন্দ করবেন।
সিনেমার অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফ্রেম পার সেকেন্ড। ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এটি বড় পর্দায় নির্মাতার প্রথম সিনেমা। প্রথম সিনেমাতেই প্রশ্ন তুলতে চেয়েছেন তিনি। নির্মাতা বলতে চেয়েছেন, ‘মানুষের অস্তিত্ব শুধু ডেথ সার্টিফিকেট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না।’
১০৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা
২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল আসে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয় সিনেমাটির শুটিং। সব কাজ শেষ করে সিনেমাটির মুক্তির ঘোষণা আসে এ বছর ৫ ডিসেম্বর। ১৩ ডিসেম্বর হয় মুক্তির তারিখ ঘোষণা এবং ১৪ ডিসেম্বর আসে সিনেমাটির ট্রেলার। সিনেমাটি পেয়েছে ইউ গ্রেডের সেন্সর সার্টিফিকেট, অর্থাৎ সব বয়সী দর্শকরা এটি দেখতে পারবেন।