দক্ষিণ মালেতে অবস্থিত মাফুসি দ্বীপ এখন মালদ্বীপের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাশ্রয়ী খরচ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির অপূর্ব সংমিশ্রণ-সব মিলিয়ে এটি পর্যটকদের কাছে দিন দিন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
রাজধানী মালে শহর থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটিতে প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে।
স্থানীয় পর্যটন দপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মাফুসিতে পর্যটক প্রবেশের হার বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ, যা লোকাল দ্বীপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
দ্বীপটিতে রয়েছে “বিকিনি বিচ” নামে একটি নির্দিষ্ট এলাকা, যেখানে বিদেশি পর্যটকরা সাঁতার কাটতে পারেন। এ ছাড়া স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং, ডলফিন ক্রুজ, লোকাল খাবারের অভিজ্ঞতা এবং আশেপাশের নির্জন দ্বীপে দিনব্যাপী ভ্রমণের সুযোগও রয়েছে।
মাফুসির এক হোটেল মালিক বলেন, “এই দ্বীপে পর্যটকরা শুধু সমুদ্র নয়, আমাদের সংস্কৃতি, আতিথেয়তা এবং জীবনের সরলতা উপভোগ করেন। এখানকার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় অনেকেই বারবার ফিরে আসেন।”
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বীপটিতে পর্যটন উন্নয়নের জন্য আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার কাজ চলছে।
বিশ্বের সেরা দ্বীপ ভ্রমণ গন্তব্যগুলোর তালিকায় মাফুসি এখন অন্যতম একটি নাম।
পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালদ্বীপের দামি রিসোর্ট না গিয়েও যে স্বপ্নের মতো সমুদ্র ভ্রমণ উপভোগ করা যায়, তার প্রমাণই মাফুসি।
মোহাম্মদ মাহমুদুল, মালদ্বীপ প্রতিনিধি