এখন যেহেতু শীতকাল, তাই খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা যেন ঠান্ডা মেঝেতে হামাগুড়ি না দেয়। প্রয়োজনে মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে রাখুন। কার্পেটের আঁশে বাচ্চাদের অ্যালার্জি হতে পারে। বাচ্চা আঘাত পেতে পারে এমন কিছু মেঝেতে পড়ে থাকলে, সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। আসবাবের কোনাগুলো ফোম–জাতীয় জিনিস দিয়ে ঢেকে দেওয়া যেতে পারে। বর্তমানে বাজারে আসবাবের কোনা আটকে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্নার প্রটেক্টর পাওয়া যায়।
বাচ্চা ঘুমালে বিছানার চারদিক বালিশ দিয়ে ঘিরে রাখা উচিত। এতে সে হঠাৎ ঘুম ভেঙে হামাগুড়ি দিয়ে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে কম থাকবে। জেগে থাকার সময়টা বাচ্চাকে হামাগুড়ির স্বাধীনতা দিতে হবে। মেঝেতে হামাগুড়ি দিলেই বাচ্চা বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মেঝেতে যেন পয়সা, মার্বেল, বোতাম, পুঁতি, ছোট পাথর, খেলনার ছোট ব্লক, বোতলের ছিপি, ছোট স্ক্রু ও ক্লিপ পড়ে না থাকে।
পড়ে থাকা এসব জিনিস বাচ্চা চলার পথে মুখে নিয়ে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। ওষুধ, মশার ওষুধ, জীবাণুনাশক দ্রবণ, কেরোসিন ও অন্যান্য দাহ্যবস্তুও শিশুর নাগালের বাইরে রাখতে হবে। টেবিল ফ্যান চালানো থাকলে খেয়াল রাখতে হবে যেন বাচ্চা চলন্ত ফ্যানে আঙুল না দিয়ে ফেলে।