ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামতে চলেছে হাইব্রিড মডেলের ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে রোহিত শর্মাদের মুখোমুখি হবে মিচেল স্যান্টনারের দল। হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে দেখে নেয়া যাক দুদলের পরিসংখ্যানের খতিয়ান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল মহারণ। রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে মাঠের লড়াই। এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তান হলেও রাজনৈতিক কারণে দেশটিতে খেলতে যায়নি ভারত। যে কারণে হাইব্রিড মডেলের আসরে ভারত ম্যাচ খেলছে দুবাইতে।
মুখোমুখির দীর্ঘ পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে জয়ের পাল্লা ভারি ভারতের দিকে। ১১৯ ওয়ানডেতে কিউইদের ৫০ জয়ের বিপরীতে ভারত জিতেছে ৬১টিতে। বাকি ৭ ম্যাচ শেষ হয়েছে ফল ছাড়াই এবং এক ম্যাচ টাই হয়েছে।
৬১ জয়ের মধ্যে ৩১ ম্যাচে ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে ভারত। প্রতিপক্ষের মাঠে ১৪ ও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১৬ জয় আছে টিম ইন্ডিয়ার ঝুলিতে। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড নিজেদের মাটিতে জিততে পেরেছে ২৬ ম্যাচ। ৮ ম্যাচ ভারতের মাঠে এবং নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১৬ জয় আছে কেন উইলিয়ামসনদের।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে দুদলই লড়াই করেছে সমানে সমান। ১১ ম্যাচের দেখায় ৫টি করে জয় আছে দুদলেরই, পরিত্যক্ত হয়েছে একটি। ম্যানচেস্টারে ২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। এরপর ঘরের মাঠে ২০২৩ বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনদের বিদায় করে ফাইনালের টিকিট কাটেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।
২০০৩ বিশ্বকাপের পর থেকে আইসিসির ইভেন্টে গত ২০ বছরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় অধরা ছিল ভারতের। ধারা ভেঙে ২০২৩ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে কিউইদের হারায় টিম ইন্ডিয়া। এরপর সেমিফাইনালে দুদলের আবারও দেখা হলে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় স্বাগতিক ভারত। বিশ্বকাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপপর্বে দেখা হয় দুদলের। সেখানেও রোহিতদের সঙ্গে জিততে পারেনি ব্ল্যাকক্যাপসরা। ফাইনালে শোধ নেয়ার দারুণ সুযোগ কিউইদের।
এবারের আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একবারই ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ২০০০ সালের সেই আসরে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দেখা হয়েছিল। সৌরভ গাঙ্গুলির দলকে কাঁদিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ড। প্রতিযোগিতায় একবারই শিরোপা জিতেছে কিউইরা। ২০০২ সালে পরের মৌসুমে আবারও ফাইনালে উঠে ভারত। বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডেতেও ম্যাচ মাঠে না গড়ালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। পরে ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে দ্বিতীয়বার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের দেখা পায় টিম ইন্ডিয়া। এবার তৃতীয় শিরোপা হাতছানি দিচ্ছে তাদের।