লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরি করেন দুজনেই। তাদের দুইশতাধিক রানের জুটিতে গল টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে গলে টসে জিতে আগে ব্যাটে নামে বাংলাদেশ। প্রথমদিনে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২৯২ রান তুলেছে টিম টাইগার্স। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩৬ রানে এবং মুশফিকুর ১০৫ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন।
আগে ব্যাটে নেমে দিনের শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এনামুল হক বিজয় ফিরে যান শূন্য রান করে। দলীয় ৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় টিম টাইগার্স। ১৪ রান করে ফেরেন সাদমান ইসলাম। তিনে নামা মুমিনুল হক ভালো শুরু করেছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দলীয় ৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারা বাংলাদেশ। ৩৩ বলে ২৯ রান করেন মুমিনুল।
এরপর হাল ধরেন শান্ত ও মুশফিক। দুজনে মিলে ৪৪৩ বলে ২৪৭ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটি গড়ে দিন পার করেন। টেস্টে চতুর্থ উইকেটে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় ২০০ ছাড়ানো জুটি, এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৬৬ ও ২২২ রানের জুটি দেখেছিল বাংলাদেশ। সেই দুটি জুটিতেই মুশফিকের সঙ্গী ছিলেন মুমিনুল হক।
১১ ম্যাচ পর সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শান্ত। এরপর ১১ ম্যাচে ২০ ইনিংস ব্যাট করেও সেঞ্চুরির দেখা মেলেনি। গলে ক্যারিয়ারে ৩৬তম টেস্ট খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করলেন শান্ত। ২০২ বলে সেঞ্চুরি করা ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কার মার। লঙ্কানদের বিপক্ষে শান্তর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি, ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ।
মুশফিক সেঞ্চুরি পেয়েছেন প্রায় বছর খানেক পর। সবশেষ ২০২৪ সালের আগস্টে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এরপর ৭টি টেস্ট খেলে কোনো ইনিংসে ৪৮ এর বেশি রান করতে পারেননি। গলে সেঞ্চুরি করলেন টাইগার অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৯৭তম টেস্ট খেলতে নেমে মুশফিকের ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি এটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ। ১৭৬ বলে সেঞ্চুরির পথে ছিল ৫টি চারের মার।
শান্ত ১৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৬০ বলে ১৩৬ রান করে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেন। মুশফিক পাঁচটি চারে ১৮৬ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত আছেন।
লঙ্কানদের হয়ে অভিষিক্ত থিরান্দু রত্নায়েকে দুটি উইকেট নেন। আসিথা ফের্নান্দো নেন একটি উইকেট।