ঢাকাপ্রতিদিন ক্রীড়া ডেস্ক : নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে যখন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ, তখন কে জানতো, সেই ইনিংসটা ৫০০-র আগেই থেমে যাবে! গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৪৯৫ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস, যেখানে শুরুটা ছিল হতাশার, মাঝপথে আশা আর শেষটা পূর্ণ ব্যর্থতা।
তৃতীয় দিনের সকালে মাঠে নামার পর কেবল ১১ রান যোগ করতেই গুটিয়ে গেল ইনিংস। দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রানে দিন শেষ করা টাইগারদের ইনিংসের পরিসমাপ্তি আসে দিন শুরুর তৃতীয় ওভারেই। আসিথা ফার্নান্দোর করা বল উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে তুলে দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন নাহিদ রানা। অপর প্রান্তে হাসান মাহমুদ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে।
ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। মাত্র ৪৫ রানের মধ্যেই ফিরে যান তিন ব্যাটার। তবে চতুর্থ উইকেটে শান্ত-মুশফিকের ২৬৪ রানের অনবদ্য জুটি বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। শান্ত খেলেছেন ১৪৮ রানের এক ধৈর্য্যশীল ইনিংস, আর মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৭ম ‘ড্যাডি সেঞ্চুরি’ (১৬৩)।
এরপর লিটনের ব্যাটেও আসে ঝলক, ৯০ রানের ইনিংসে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন তিনি। কিন্তু শতক ছোঁয়ার আগেই তিনিও বিদায় নেন, মুশফিকের আউট হওয়ার পরের ওভারেই। আর এরপরই শুরু হয় টাইগারদের পতনের মিছিল, ২৬ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন আসিথা ফার্নান্দো, ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে তৃতীয় দিনের সকালেই ইনিংসের ইতি টানেন তিনি। ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন মিলান রত্নায়েকে এবং থারিন্দু রত্নায়েকে।
সমাপ্তি যেখানে হতাশা, মাত্র ৫ রান দূরেই থেমে গেল ইতিহাস
৪৫৮ রানে ৪ উইকেট থাকা অবস্থায় যেখান থেকে ৫৫০-র স্বপ্ন দেখা হচ্ছিল, সেখানেই ব্যর্থতার ছায়া নেমে এলো হঠাৎ করে। শেষ ৬ উইকেটে ২৬ রান, ১৫১ ওভারের শেষে মাত্র ৪৯৫ রান। এক ইনিংসে এত উজ্জ্বলতা, তবু শেষ রক্ষা হয়নি, এই হতেই পারে ক্রিকেট নামের খেলা।
ব্যাট হাতে কীভাবে জবাব দেয় শ্রীলঙ্কা, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বাংলাদেশের বোলাররা কি পারবেন বড় এই পুঁজি কাজে লাগিয়ে ম্যাচে প্রভাব ফেলতে? নাকি শান্ত-মুশফিক-লিটনের ইনিংস বয়ে নিয়ে যাবে শুধুই পরিসংখ্যানের পাতায়?
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস – ৪৯৫ অলআউট (শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩, লিটন ৯০; আসিথা ৪/৮৭)
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর