ইউক্রেনের চার অঞ্চল রুশভুক্ত হওয়ার পর এবার রাশিয়ার ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সমরাস্ত্র-শিল্প কমপ্লেক্স ছাড়াও দুটি আন্ত্রর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাতের তিনজন প্রধান নেতা, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য ও রুশ আইনসভার ২৭৮ জন সদস্যকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া রাশিয়ার বাইরে যেসব সংস্থা দেশটির সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করবে এবং ইউক্রেনের অঞ্চল যুক্তকরণে যারা সমর্থন দেবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে শুক্রবার ইউক্রেনের চার প্রদেশ খেরসন, ঝাপোজ্জিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে মস্কোর ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে এক উৎসবমুখর আয়োজনে এ চার প্রদেশের নেতারা রাশিয়ায় যোগদান সম্পর্কিত নথিপত্রে সই করেন।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ‘লোভী’ ও ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রাশিয়ার সমৃদ্ধি পশ্চিম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে তারা সবসময়ই চায় রাশিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাক এবং আমরা যেন তাদের সামনে নতজানু হতে বাধ্য হই। রাশিয়াকে নিজেদের উপনিবেশ বানাতে চায় পশ্চিম, আর আমাদের বানাতে চায় তাদের দাশ।
তিনি বলেন, ইউক্রেনকে সামনে রেখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা যে হাইব্রিড যুদ্ধ চালাচ্ছে, সেটিও তাদের এই দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু তারা কখনো সফল হবে না। কারণ রাশিয়ার জনগণ দেশপ্রেমিক ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। অতীতেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমের যাবতীয় পদক্ষেপের জবাব দিয়েছে রুশ জনগণ, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে রাশিয়ার এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, সার্বভৌম ইউক্রেনের অঞ্চল যুক্তকরণে রাশিয়ার প্রতারণামূলক প্রচেষ্টার নিন্দা জানাচ্ছে। রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করছে। জাতিসংঘের সনদকে পদদলিত করছে। পাশাপাশি রাশিয়া শান্তিকামী দেশগুলোকে অবজ্ঞা করছে।
এসময় বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।