রাফিনহা-ইয়ামাল জাদুতে কোয়ার্টারে বার্সা, লিভারপুলের বিদায় | চ্যানেল আই অনলাইন

রাফিনহা-ইয়ামাল জাদুতে কোয়ার্টারে বার্সা, লিভারপুলের বিদায় | চ্যানেল আই অনলাইন

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লামিন ইয়ামাল-রাফিনহার জাদুতে বেনফিকাকে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেছে বার্সেলোনা। ম্যাচে সতীর্থকে দিয়ে গোল করানোর পাশাপাশি ইয়ামাল নিজেও পেয়েছেন জালের দেখা। তাতে নতুন কীর্তি গড়েছেন তিনি সঙ্গে সতীর্থ রাফিনহাও পেয়েছেন রেকর্ডের দেখা। রাতের আরেক ম্যাচে পিএসজির কাছে হেরে লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শেষ প্রথম নকআউটেই।

শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে মঙ্গলবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-বেনফিকা। ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে পর্তুগিজ ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ এর ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি। বেনফিকার মাঠ থেকে প্রথম লেগ ১-০তে জিতে ফিরেছিল হ্যান্সি ফ্লিকের দল।

ম্যাচে সবকটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ১১ মিনিটে রাফিনহা বার্সাকে এগিয়ে নেয়ার ২ মিনিটের মধ্যে বেনফিকাকে সমতায় ফেরান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড নিকোলাস ওটামেন্ডি। ২৭ মিনিটে ইয়ামাল দলকে আবারও লিড এনে দিলে ৪২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনহা। আসরে বেনফিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচে রাফিনহা গোল করলেন পাঁচটি। প্রথম পর্বের দেখায় জোড়া গোলের পর শেষ ষোলোর প্রথম লেগে করেছিলেন একটি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলারের রেকর্ডটি এখন ইয়ামালের। এদিন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪১ দিন। ইয়ামাল ভেঙেছেন ২০১৪ সালে এফসি বাসেলের হয়ে ব্রিল এমবোলোর ১৭ বছর ২৬৩ দিন বয়সে গোল ও অ্যাসিস্টের রেকর্ড।

অন্যদিকে দুই গোল করে আসরে ১১তম গোলের দেখা পেয়েছেন রাফিনহা। তাতে এই প্রতিযোগিতায় ব্রাজিলীয়দের মধ্যে এক আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড গড়লেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে ব্রাজিলের আর কেউ কোনো ক্লাবের হয়ে কোনো বছরই ১০ গোলের বেশি করতে পারেননি। ১০টি করে গোল আছে নেইমার, রিভালদোসহ পাঁচজনের।

এদিকে পিএসজির সঙ্গে প্রথম লেগ লিভারপুল জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। তবে ফিরতি লেগের ১২ মিনিটে উসমান ডেম্বেলে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে নিলে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফিরে তারা। রোমাঞ্চকর ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে দুদলের কেউই আর গোলের দেখা না পেলে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ফরাসি ক্লাবটির রক্ষণ ভাঙতে পারেনি আর্নে স্লটের দল। শেষপর্যন্ত স্নায়ুক্ষয়ী পেনাল্টি শুটআউটে খেলা গড়ালে তাতে শেষ হাসি হাসে পিএসজি। টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জেতে ফরাসি ক্লাবটি।

কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। তারা বেয়ার লেভারকুসেনকে ফিরতি লেগে ২-০তে হারিয়ে দুই লেগ মিলে জিতেছে ৫-০তে। শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে ইন্টার মিলানেরও। তারা ফেইনুর্দকে ফিরতি লেগে ২-১ ব্যধানে হারিয়েছে। দুই লেগ মিলে ইতালিয়ান ক্লাবটি এগিয়েছিল ৪-১ গোলে।

Scroll to Top