রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী, শ্রদ্ধাঞ্জলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী, শ্রদ্ধাঞ্জলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের

Last Updated:

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আজ প্রথম প্রয়াণ বার্ষিকী। সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতিতে  রাজ্যে আজ  নানা  অনুষ্ঠানের  আয়োজন করা হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

News18রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী, শ্রদ্ধাঞ্জলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের
News18

কলকাতা: রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আজ প্রথম প্রয়াণ বার্ষিকী। সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতিতে  রাজ্যে আজ  নানা  অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজনীতিতে হাতেখড়ি খাদ্য আন্দোলন দিয়ে। তার আগে প্রেসিডেন্সি থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা। না, ছাত্র রাজনীতির ময়দানে লড়াই তিনি করেননি। ১৯৬৬ সালে সিপিএমে যোগ। বলা ভাল, তাঁকে একপ্রকার খুঁজেই নিয়ে আসা হয়েছিল। তার ঠিক দু-বছর পরেই পশ্চিমবঙ্গের দ্য ডেমোক্রেটিক ইউথ ফেডারেশনের সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচন। এরপর তিনি হলেন সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য। তাঁর রাজনৈতিক উত্তরণে কালিমা খুঁজে পাননি বিরোধীরাও।

এরপর পশ্চিমবঙ্গ প্রবেশ করল নতুন এক পর্বে। ১৯৭৭। রাজ্যে বামফ্রন্টের দায়িত্বগ্রহণ। সাধারণ মানুষ আঁকড়ে ধরল এক লাল পতাকাটা। ৭৭-এর নির্বাচনে উত্তর কলকাতার বিধায়ক নির্বাচিত হলেন বুদ্ধবাবু। দায়িত্ব মিলল তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের, যা পরে তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগ হয়। তারপর ১৯৮৭-তে পেলেন পুরো ও নগরোন্নয়নের দায়িত্ব। সিপিএমের পতন- অভ্যুদয়- বন্ধুর পথে তিনিই ছিলেন কান্ডারী, চিরসারথী। দীর্ঘ ২৪ বছর যাদবপুরে বিধায়ক হিসাবে রাজ করেছেন বুদ্ধদেব।

তখন ১৯৯৯। জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালের শেষ লগ্ন। জ্যোতিবাবু অসুস্থ। উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন বুদ্ধদেব। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে প্রথম অধিষ্ঠান। সেই চেয়ারেই থেকে গেলেন তিনি। ২০০১-এর ১৮ মে ১৩তম পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। ২০০৬ সালেও এল প্রবল জয়। সেই জয়ের ইতিহাস আজও গায়ে কাঁটা দেয়। ভোটের কিছুদিন আগে অনীল বিশ্বাস মারা যান। তিনি বুঝেছিলেন তাঁর দল জিতবে। কিন্তু ২৩৫! ১৪ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের ধারেকাছে কেউ আসেনি। ফলঘোষণা হয়েছিল ১১মে। রাজ্য জুড়ে সেদিন শুধু লাল-রং আর লাল আবির। রেকর্ড আসন জিতে সপ্তমবার সরকার গঠন। জয়গাথা এখানেই শেষ।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কমিউনিস্ট নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রথম প্রয়াণবার্ষিকী, শ্রদ্ধাঞ্জলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের

Scroll to Top