রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলছেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নœতাপমাত্রার ব্যবধান যত কম থাকবে, গরম তত কম লাগে। এ বছরের ২৫ আষাঢ় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি। এ রকম কম ব্যবধান থাকার কারণেই এবারের আষাঢ়ের তাপমাত্রা সহনীয় ছিল।
রাজশাহী শহর ও পবা উপজেলার কাটাখালী এলাকায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তার হিসাব থেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের এই তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছর অর্থাৎ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ১২ কোটি ৩০ লাখ ২৪ ইউনিট (কিলোওয়াট) বিদ্যুতের ব্যবহার হয়েছিল। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ছিল ৭ টাকা ০৪৫ পয়সা করে। মোট খরচ হয়েছিল ৮৬ কোটি ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৬৯ টাকা।
এবার ১৪৩২ বঙ্গাব্দের আষাঢ়ে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৮ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ছিল ৭ টাকা ০৪৫ পয়সা করে। মোট খরচ হয়েছে ৮৫ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার ১৬০ টাকা। তাতে দেখা যাচ্ছে যে এ বছরের আষাঢ়ে মোট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৬ ইউনিট, টাকার অঙ্কে যার মূল্য দাঁড়ায় ১ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৮ টাকা।
রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আশপাশের অন্য জেলাগুলোর চেয়ে রাজশাহী শহরে সবচেয়ে বেশি এসি ও ফ্যানের ব্যবহার হয়। এ জন্য আবহাওয়া শীতল থাকলে এসব তাপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ কমে যায়। এবার আষাঢ়ে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল, যে কারণে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পরিমাণ চোখে পড়ার মতো হয়েছে। এটাকে ঘুরিয়ে বললে আষাঢ়ের উপহারও বলা যায়।