রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ শিক্ষার্থীকে সাজা | চ্যানেল আই অনলাইন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ শিক্ষার্থীকে সাজা | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

হামলা, হুমকি, র‌্যাগিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩ শিক্ষার্থীকে সাজা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাদের কী অপরাধের কারণে শাস্তি দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা, হুমকি, র‌্যাগিংসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে অপরাধের ধরণ ও মাত্রাভেদে ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার (তবে ছাত্রত্ব না থাকলে সনদ বাতিল), ৫ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার, ৪ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার, ২ জনকে ৬মাসের জন্য বহিষ্কার, ১ জনকে ৬মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, ১ জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৩ জনের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।

শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কৃতদের ৬ জনই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, বর্তমান সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রায় ও ছাত্রলীগ কর্মী মিশকাত হাসান।

২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ৫ শিক্ষার্থীকে। তাদের মধ্যে ৪জনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছিলেন। তারা হলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, নবাব আব্দুল লতিফ হলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা, ছাত্রলীগের কর্মী আব্দুল্লাহ আত তাসরিফ ও মুজাহিদ আল হাসান। এছাড়া আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলামকেও ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

GOVT

এক বছরের জন্য বহিষ্কৃত ৪ শিক্ষার্থীর ৩জনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হলেন, রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা, মাদার বখ্শ হলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর পাল ও ছাত্রলীগ কর্মী জারিফা আহনাফ ইলমা। আরেক শিক্ষার্থী হলেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আহসানুল হক মিলন।

৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগ দুই কর্মী আনিকা আলম ঊষা ও মরিয়ম আক্তার শান্তাকে । এছাড়া ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাসকে। একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন নাবিলকে ৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

অন্যদিকে ১৩ শিক্ষার্থীর হলের আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০জনই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। তারা হলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজরীন আহমেদ খান মেধা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশা খাতুন ও নবনীতা বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাইতাহ ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জাফরিন খান প্রিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুসরাত জাহান পাপড়ি, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক নুর ই জান্নাত কথা, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারিনা জামান মিম ও উপ-প্রচার সম্পাদক বাবলি আক্তার। এছাড়া চারুকলা অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাবলী ইসলাম নিঝুম, সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কাজী উর্বি ইয়াসমিন রুপ এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আফরিদা বিনতে ইকবালের আবাসিকতাও বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ একটি রাজনৈতিক দলের। তবে তাদেরকে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ জায়গায় বার্তা থাকবে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাঁক দল-মত নির্বিশেষে শাস্তি পেতে হবে।

Shoroter Joba

Scroll to Top