গত শনিবার অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) এক অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এখন মর্যাদা বাড়ানোর প্রকল্প (প্রেস্টিজ প্রজেক্ট) করার সময় নয়। এখন গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার সময়। মেট্রোরেল ১, ২, ৩; কক্সবাজার রেলপথ—এসব প্রকল্প অন্য সময় করলেও হবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘শাস্ত্রে আছে, যত মত তত পথ। কারোর মন্তব্যের ওপর মন্তব্য করব না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এই পথ দিয়ে যাওয়া মানুষেরা রোমাঞ্চিত বোধ (ফিল এক্সাইটেড) করেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। যদি দিন শেষে লাভ হয়, তাহলে লাভ; দিন শেষে ক্ষতি হলে ক্ষতি।’
সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘অর্থনীতি কখনো সরলরেখায় চলে না। ওঠানামা থাকবেই। অর্থনীতি নামলে আমরা অখুশি হই। অর্থনীতি কখনো কখনো অবনমিত হয়। অর্থনীতির গতিপথ অনেকটা করাতের মতো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১৭টি প্রকল্প পাস হয়। এতে খরচ হবে ১২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা।
পাস হওয়া একটি প্রকল্প হলো ১ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প। এই প্রকল্পের জন্য ৩০ একর জমি লাগবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ জমি বর্ষার সময় পানির নিচে ডুবে যায় বলে পরিকল্পনা কমিশন মতামত দিয়েছিল।