রাঙ্গুনিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবাসির মৃত্যু, আহত ৫

রাঙ্গুনিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবাসির মৃত্যু, আহত ৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামকে ফলদ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। ‘সবুজ গড়ি সবুজে বাঁচি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মানবিক চিকিৎসক ডা. এ এস এম মুসা কবির এর সহযোগিতায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার বাস্তবায়ন করছে স্মাইল ফর অল (এসএফএ) নামক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

সম্প্রতি উপজেলার বাড়াগাংদীয়া এলাকার গ্রামীণ রাস্তার ধারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নানা জাতের ৫০০টি গাছের চারা রোপণ করেন মানবিক চিকিৎসক ডা. এ এস এম মুসা কবির।

চারা রোপণ শেষে মানবিক চিকিৎসক ডা. এ এস এম মুসা কবির বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমাদের চারপাশ সবুজের সমাহার ঘটাতে চাই। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপণ করব। ইতিমধ্যেই চার হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুই হাজার গাছের চারা শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের মাধ্যমে রোপণ করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দৌলতপুর উপজেলার মানুষ ১০ হাজার ফলদ, ওষুধি ও বনজগাছের চারা লাগানোর মধ্য দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সবুজ অরণ্য গড়তে অবদান রাখবে।’ পাশাপাশি প্রতিটা গ্রাম যেন ফলের গ্রাম হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এজন্য সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে একটা সময় গোটা উপজেলা বৃক্ষরোপণে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

রাঙ্গুনিয়ায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রবাসির মৃত্যু, আহত ৫


সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লাগানো গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফলদ, ওষুধি ও বনজগাছের চারা লাগানো হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চারা রোপণ করে যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংগঠন সূত্র জানায়, এ ধারাবাহিকতায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সড়কের পাশে, আশ্রয়ণ প্রকল্পে, বিভিন্ন পরিত্যক্ত-পতিত জমিতে ও কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার গাছ লাগানো হবে। এরই মধ্যে চার হাজার গাছের চারা রোপণ করেছে সংগঠনটি। ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা লাগানো হচ্ছে কর্মসূচির অংশ হিসেবে।

গাছ রোপণ নিয়ে আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মারুফা ইয়াসমিন জানান, ‘আমরা গাছ লাগাতে পেরে খুব আনন্দিত। আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে আমাদের পরিবেশ হুমকিতে পড়েছে। আমরা চাই আমাদের দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে গাছ লাগিয়ে এ দেশটাকে বাঁচাবে। পরিবেশ বাঁচাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ অন্তত প্রত্যেককে একটি করে গাছ লাগানোরও আহ্বান জানান তিনি।

পথচারীরা জানান, তাদের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এদের মাধ্যমেই পরবর্তী প্রজন্ম এগিয়ে যাবে। গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচাচ্ছে। দেখে খুবই ভালো লাগছে আমাদের সন্তানরা এগিয়ে আসছে। তাদের মতো আমাদেরও এগিয়ে আসা উচিত। 

দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ এর প্রভাষক তানজীল হাসান শাহিন জানান, ‘আমরা দেশের জন্য কিছু করতে চাই। দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। এ জাতির জন্য কিছু করতে চাই। শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে বেশি বেশি করে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে এ কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করতে চাই।’  

স্মাইল ফর অল (এসএফএ) নামক সংগঠনের সভাপতি আল বুখারী অনিক বলেন, ‘বিগত দুই বছরে চার হাজারের অধিক গাছ লাগানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু গাছই না, গাছ লাগানো এবং তার পরিচর্যা করার জন্য, খুঁটি, সার,পলিথিন, নেট দিয়ে বেষ্টনী গড়ে তার পরিচর্যা করা। আবার কোনো গাছ মারা গেলে সেখানে রিপ্লেস করে আবার নতুন গাছ রোপণ করা হয়।’ 

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৪ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্মাইল ফর অল- (এসএফএ) এর স্বেচ্ছাসেবকরা। আম, জাম, কাঁঠাল, আমড়া, কদবেল, সবেদা, চেরি, জলপাইসহ নানা ধরনের বৃক্ষ রোপণ অব্যাহত রয়েছে। এভাবেই আগামীতে উপজেলার একেকটি গ্রাম একেকটি ফলের বাগান হিসেবে গড়ে উঠলে মানবিক চিকিৎসক ডা. মুসা কবিরের স্বপ্ন পূরণ হবে।’ 

Scroll to Top