ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভবিষ্যত শাসনের জন্য রূপরেখা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেন, ওই ভূখণ্ডে সীমিত পরিসরে ফিলিস্তিনি শাসন জারি থাকবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে না এবং সেখানে ইসরায়েলর সামগ্রিক নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে। তিনি জানান, ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পর একটি বহু-জাতীয় বাহিনী এই অঞ্চলের পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে।
গ্যালান্ট বলেন, গাজার বাসিন্দারা ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনি সংস্থাগুলো অঞ্চলটিতে কিছু দায়িত্ব পালন করবে। তবে শর্ত যে, তারা ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও শত্রুতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিবেশী দেশ মিশরও গাজায় কিছু ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা উপত্যকার উত্তরে আরও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে। হামাসকে নির্মূল এবং তাদের সুড়ঙ্গ ভেঙে ফেলা তাদের প্রধান লক্ষ্য। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাস নেতাদের খুঁজে বের করার এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের কিছু ডানপন্থী সদস্য বলেছেন, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের গাজা ছেড়ে নির্বাসনের জন্য উত্সাহিত করা উচিত। যদিও এই পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু এখনও কোন মন্তব্য জানায়নি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরুর পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজাড় ৪০০ জনে।