পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার, বিশেষ করে তার মায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী গজালা জাভেদ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হুমায়রার মা যা বলছেন, তা জনসাধারণকে দোষারোপ করে সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা।
গজালা বলেন, “একজন মা হয়ে আপনি এতটা চুপ ছিলেন কীভাবে? আমি নিজেও মা। আমার মেয়ের জ্বর থাকলেও রাতে ঘুমাতে পারি না। একজন মা বুঝতে পারেন কখন সন্তানের কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, যদি হুমায়রা কোনো ‘অসাধু’ কাজে জড়িত থাকতেন, তাহলে তার জীবনটা অন্যরকম হতো। “একজন মেয়ে যদি সাত বছর ধরে একা বাস করে এবং কোনো অবৈধ পথ অবলম্বন করত, তাহলে অন্তত একটা গাড়ি থাকত, ভালো ঘর, কিছু আরাম থাকত। কিন্তু হুমায়রা ছিল খুব সাধারণ জীবনযাপনকারী।”
গজালার মতে, সন্তান যদি মায়ের সহানুভূতি ও স্নেহ না পায়, তবে তার চেয়ে দুর্ভাগা কেউ হয় না। “যদি হুমায়রা আমার মেয়ে হতো, আমি গর্ব করতাম তার মতো সাহসী ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য।”
এর আগে পাকিস্তানের আরেক অভিনেতা শামুন আব্বাসিও হুমায়রার মায়ের বক্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “হুমায়রার খোঁজ রাখা করাচির জনগণের দায়িত্ব ছিল না। পরিবার কেন তাকে দেখতে লোক পাঠায়নি? পুলিশ বা স্থানীয় কাউকে দিয়েও তো খবর নেওয়া যেত।”
হুমায়রার মরদেহ জুলাই মাসের ৮ তারিখে করাচির ডিফেন্স ফেজ-৬ এর একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, তিনি অন্তত ১ মাস আগে মারা গেছেন। তবে পরে তদন্তে উঠে আসে, ২০২৪ সালের অক্টোবরেই তিনি মারা যান।
সেসময় ফ্ল্যাটে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ ছিল না, কোনো নড়াচড়া বা চিহ্ন ছিল না যে কেউ সেখানে থাকছেন। তার শেষ ফোন ব্যবহারও অক্টোবরেই রেকর্ড করা হয়েছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার পরিবার তার থেকে অনেক আগেই দূরত্ব তৈরি করেছিল। এমনকি মৃত্যুর পর বাবা করাচিতে গিয়ে মরদেহ নেওয়ার বিষয়েও অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। – দ্য কারেন্টনিউজ