যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিবাসননীতি নিয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্রে। বুধবার (১১ জুন) তিনি ঘোষণা দিয়েছেন বহুল প্রচারিত ‘গোল্ড কার্ড’ কর্মসূচির জন্য একটি ওয়েবসাইট চালুর। নতুন এই ভিসা কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সফল ব্যক্তিরা ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের পথ পেতে পারেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ পোস্ট করে জানান, পাঁচ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে, ট্রাম্প কার্ড আসছে। তিনি আরও বলেন, হাজার হাজার মানুষ জানতে চাচ্ছেন কীভাবে বিশ্বের সেরা দেশে প্রবেশের জন্য এই সুযোগ কাজে লাগানো যায়।
কীভাবে আবেদন করবেন
নতুন ওয়েবসাইট ‘ট্রাম্পকার্ড ডট গভ‘ এ প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে ট্রাম্পের মুখমণ্ডল খোদাই করা একটি সোনালি কার্ডের ছবি। প্রাথমিকভাবে, আবেদনকারীদের নাম, অঞ্চল, ইমেইল ঠিকানা ও তারা ব্যক্তি হিসেবে না কি ব্যবসায়িকভাবে আবেদন করছেন এই তথ্যগুলো জমা দিতে বলা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটি আটটি ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে আগ্রহীদের তথ্য নিচ্ছে: ইউরোপ, এশিয়া (মধ্যপ্রাচ্যসহ), উত্তর আমেরিকা, ওশেনিয়া, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান এবং আফ্রিকা।
গোল্ড কার্ড: কী আছে এই প্রস্তাবে?
ট্রাম্প গত এপ্রিলেই প্রথম এই ‘গোল্ড কার্ড’-এর ঘোষণা দেন। তার দাবি, এটি মার্কিন গ্রিন কার্ডের উচ্চমূল্যের সংস্করণ। তখন তিনি বলেছিলেন, মাত্র ‘দুই সপ্তাহের মধ্যে’ বিশেষ এই ভিসা পেয়ে যেতে পারেন আবেদনকারীরা। যদিও এখনও পুরো প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি, ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যারা আগ্রহ প্রকাশ করবেন, তারা প্রথম দিকেই সুযোগ পাবেন।
ট্রাম্প বলছেন, এই ভিসা বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ মার্কিন অর্থনীতির ঘাটতি পূরণে ব্যবহার করা হবে। এমনকি তার দাবি—নতুন কার্ডটি হয়তো ইবি-ফাইভ ভিসা কর্মসূচির স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। উল্লেখ্য, ইবি-ফাইভ কর্মসূচির অধীনে বিদেশিরা প্রায় ৮ লাখ থেকে ১.০৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে গ্রিন কার্ড পেতে পারেন। বিনিয়োগের অর্থকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান তৈরির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘গোল্ড কার্ড’ বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১০ লাখ ভিসা বিক্রি করতে পারলে, তা জাতীয় ঋণ কমানোর অর্থনৈতিক সরঞ্জাম হিসেবেও কাজ করতে পারে।