মানবাধিকার কমিশন ৪ মাস ধরে নিষ্ক্রিয়, কারণ কী

মানবাধিকার কমিশন ৪ মাস ধরে নিষ্ক্রিয়, কারণ কী

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এসে সেবা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। এমন একজন রোমেনা খাতুন। তিনি যশোর সদর উপজেলার কাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অন্যায়ভাবে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযোগ এনে তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন কমিশনে। কমিশনের সহযোগিতায় ২০১০ সালে তিনি চাকরিতে পুনর্বহাল হন। কিন্তু বেতন পুরোপুরি বুঝে না পাওয়ায় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। ৬ মার্চ তাঁর সঙ্গে দেখা হলো রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কমিশনের কার্যালয়ে। আগেরবার চাকরি ফেরত পেলেও এবার ন্যায্য বেতন বুঝে পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে কোনো অভিযোগ এলে প্রথমে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। কমিশনের তিনটি বেঞ্চে অভিযোগগুলো উত্থাপিত হয়। একটি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১ নম্বর বেঞ্চ এবং একটি সার্বক্ষণিক সদস্যের নেতৃত্বে ২ নম্বর বেঞ্চ। আরেকটি আছে আপস বেঞ্চ, যেখানে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সেটিও একজন সদস্যের নেতৃত্বে। এখন কমিশনের চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য ও সদস্যরা না থাকায় একটি বেঞ্চও কার্যকর নেই।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন শুধু অভিযোগগুলো নিয়ে রাখছি। আর কিছুই করার নেই। আসলে কমিশন না থাকলে কোনো কাজ হবে না, সম্ভবও নয়।’