ওমর আলীর দুই মেয়েও ব্যাংকে চাকরি করেন। বড় মেয়ে হাসিনা আক্তার যমুনা ব্যাংকের ধোলাইখাল শাখায় কর্মরত। আর ছোট মেয়ে রোকসানা আক্তার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় কর্মরত। মা–বাবা ও দুই ভাইকে হারানোর খবর পেয়েই শুক্রবার বিকেলে ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ছুটে আসেন দুই বোন। এ সময় তাঁদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ। আত্মীয়স্বজন তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কোনো সান্ত্বনাতেই তাঁরা থামছিলেন না।
নিহত ওমর আলীর ছোট ভাই মহরম আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের কত সুখী পরিবার। এমন ঘটনা আমরা কেমনে মেনে নেব!’
নিহত ওমর আলীর বড় মেয়ের স্বামী দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেলা দুইটার দিকে আমার স্ত্রীর ছোট বোন আমাকে কল দিয়ে বলে, “ভাইয়া আব্বু আম্মু আর ভাইদের খবর পাচ্ছি না। ভাইদেরকে ফোন করছি তারা কল ধরছে না। আর টিভিতে দেখাচ্ছে কুমিল্লায় চারজন মারা গেছে সড়ক দুর্ঘটনায়, আমাদের চারজনও তো একই গাড়িতে ছিল”। তাঁর এমন কথা শোনার পর আমি আবুল হাসেম ভাইয়ের মোবাইল নম্বরে অনেকবার কল করার পর পুলিশের একজন ধরেন। তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানান। এরপর আমরা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ছুটে আসি।’