নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই – কর্নাটকের গোকর্ণে রামতীর্থ পাহাড়ের এক প্রত্যন্ত ও বিপজ্জনক গুহায় দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে বসবাস করছিলেন এক রাশিয়ান নারী। গত ৯ জুলাই বিকেলে টহলরত পুলিশ দল এই ঘটনা উদঘাটন করে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
গোকর্ণ থানার ইন্সপেক্টর শ্রীধর এস আর ও তার টিম পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাহাড়ি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় জঙ্গলের গভীরে, ভূমিধস-প্রবণ এক গুহার নিকট নড়াচড়া লক্ষ্য করে তারা এগিয়ে যান। গুহার ভেতরে পাওয়া যায় রাশিয়ান নারী নিনা কুটিনা (৪০), তার মেয়ে প্রেমা (৬ বছর ৭ মাস) এবং আমেকাকে (৪ বছর)।
জিজ্ঞাসাবাদে নিনা জানান, তিনি গোয়া থেকে গোকর্ণে এসেছেন আধ্যাত্মিক নির্জনতার খোঁজে। শহরের কোলাহল এড়িয়ে ধ্যান ও প্রার্থনায় নিমগ্ন থাকার লক্ষ্যে তিনি গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসন শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। পরে তাদের উদ্ধার করে পাহাড় থেকে নিচে নামানো হয়।
নারীর অনুরোধে তাকে ও তার মেয়েদের স্থানান্তরিত করা হয় কুমতা তালুকের বান্ধিকোডলা গ্রামের একটি আশ্রমে, যেটি পরিচালনা করেন ৮০ বছর বয়সি সন্ন্যাসিনী স্বামী যোগবত্ব সরস্বতী।
উল্লেখ্য, যেখানে গুহাটি অবস্থিত, সেই রামতীর্থ পাহাড়ে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বড় একটি ভূমিধস ঘটে এবং এটি বিষাক্ত সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।
তদন্তে জানা যায়, শুরুতে পাসপোর্ট ও ভিসার তথ্য জানাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন নিনা। পরে পুলিশ ও কল্যাণ কর্মকর্তাদের বোঝানোর পর তিনি জানান, তার নথিপত্র বনেই হারিয়ে গেছে। বন বিভাগ ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ১৩ জুলাই ২০২৫