ভারতজুড়ে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক। রাজনীতিবীদ থেকে তারকা মুখ- এমনকি ভারতের সাধারণ মানুষও মালদ্বীপ বর্জনের ডাকে সুর মিলিয়েছেন। সবাই বলছেন, মালদ্বীপ নয়, ভারতীয়দের গন্তব্য হোক লাক্ষাদ্বীপ! বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেট তারকাদের অনেকেই এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন।
আর এবার সেই সুরে সুর মিলিয়ে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিল ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লোয়িস (এফডব্লিউআইসিই)। এবিষয়ে বিবৃতি জারি করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে এফডব্লিউআইসিই’র সভাপতি বিএন তিওয়ারি।
It is so cool to see our Hon PM Narendrabhai Modi at the beautiful clean n stunning beaches of Lakshadweep, and the best part is that yeh hamare India mein hain.
— Salman Khan (@BeingSalmanKhan) January 7, 2024

সিনে দুনিয়ার সকল প্রযোজক, অভিনেতাদের কাছে তার আবেদন, ‘আমরা চাই আমাদের সকল প্রযোজক, অভিনেতারা মালদ্বীপ বয়কট করুক। তা সেটা শুটিং হোক কিংবা ছুটির দিন। এর কারণ, যে কেউ আমাদের অপমান করবে সেটা সহ্য করা যায় না। এফডব্লিউআইসিই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাতির সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ। আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এমন অবমাননা সমর্থন করি না। মালদ্বীপের মন্ত্রীর এধরনের মন্তব্য হাস্যকর, দায়িত্বজ্ঞানহীন। আর তাই সমস্ত প্রযোজকদের কাছে আমাদের এই আবেদন মালদ্বীপে কোনও ছবির শুটিংয়ের পরিকল্পনা করবেন না। পরিবর্তে ভারতের অনুরূপ কোনও জায়গা বেছে নিন। আমরা নিশ্চিত এই বয়কটের ফলে মালদ্বীপের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আর পর্যটন ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ প্রভাব পড়বে। দেশের পর্যটনেরও বিকাশ হবে।’
Came across comments from prominent public figures from Maldives passing hateful and racist comments on Indians. Surprised that they are doing this to a country that sends them the maximum number of tourists.
We are good to our neighbors but
why should we tolerate such… pic.twitter.com/DXRqkQFguN— Akshay Kumar (@akshaykumar) January 7, 2024
মালদ্বীপ নিয়ে হঠাৎ কেন ভারতীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া? ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোই বলছে, মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভারতপন্থী। ইব্রাহিম মহম্মদ সোলির আমলে তাই দুই দেশের সুসম্পর্ক ছিল। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মালদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেসময় দুই দেশের মধ্যে এই মর্মে চুক্তি ছিল মালদ্বীপের জলসীমায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাবে ভারতীয় নৌসেনা। এছাড়াও মালদ্বীপ ভারতীয় সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই মালদ্বীপের প্রতি বারবার সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত। সেদেশের প্রতিরক্ষাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা, মালদ্বীপের জন্য অনেককিছুই করেছে ভারত। প্রতিবছর বহু পর্যটক মালদ্বীপ ছুটি কাটাতে যান।
Smell?? Permanent smell?? What!!! Suffering from massive Muslim phobia, even though belonging to the same community. Lakshadweep consists of 98 percent of Muslim population, this prominent public figure from Maldives calling them smelly and lowly is rather racist and uninformed.… pic.twitter.com/hLbQvD5RYD
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) January 7, 2024
তবে পরিস্থিতি বদলে যায় মালদ্বীপের চিনপন্থী মহম্মদ মুইজু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। তিনি স্থানীয়দের মধ্যে এই ধারণা ঢুকিয়ে দেন মালদ্বীপে প্রভাব বিস্তার করছে ভারত। এরপরই সেখানে ভারতীয়দের প্রতি বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। এমনকি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোরও দাবি ওঠে। এছাড়াও নানান ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হয়।-হিন্দুস্তান টাইমস