চলমান তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বেসরকারি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেটরি টিম (বিডব্লিউওটি)। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১২ মে পর্যন্ত দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, রাজশাহী, নড়াইল, সাতক্ষীরা, খুলনা, রাজবাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নাটোর ও ঝিনাইদহসহ আশপাশের এলাকায় ৪০ থেকে ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে। এ ছাড়াও বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, পাবনা ও বগুড়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বিডব্লিউওটি আশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটতে পারে ১৩ মে থেকে, যখন ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১২ কিংবা ১৩ মে থেকে শুরু হয়ে ২০ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এসময় বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেন বলেন,সাধারণত মে মাসে গরম থাকেই। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। ফলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, গত বছর তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির জন্য ইস্তেখারা নামাজ, এমনকি ব্যাঙের বিয়ের মতো ব্যতিক্রমী আয়োজনও দেখা গিয়েছিল। এবছর মানুষের দুর্ভোগ তুলনামূলকভাবে কম। তবে ১৬/১৭ মে নাগাদ আবারও এক দফা ভ্যাপসা গরম আসতে পারে।
আগাম বর্ষার সতর্কতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছর মৌসুমি বায়ু আগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায়, জুন নাগাদ বর্ষাকাল শুরু হয়ে যাবে। ফলে এবছর মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়বেনা।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এই ধরনের অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই হিটস্ট্রোক এড়াতে সাধারণ মানুষকে বেশি পরিমাণে পানি পান করা, রোদে কাজ করলে বিরতি নিয়ে ছায়ায় বিশ্রাম নেয়া, ঘর থেকে কম বের হওয়া, মাথায় পানি ঢালা এবং বাইরের খাবার বর্জনের মতো সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।