কসবা থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় বিএনপির দুই নেতা মো. আবদুল আওয়াল ও মোস্তফা কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আজ দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সমর্থিত লোকজন এলাকায় ককটেল ও লোহার রড নিয়ে আবদুল আওয়ালের সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালান। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় বিকেল পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলাকালীন দুই পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাটিসোঁটা, দা, ছুরি ও টেঁটা নিয়ে হামলাসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোকজন আহত হন।
খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁটজনকে আটক করেছে।
সংঘর্ষে কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০) ও টেঁটাবিদ্ধ সুমন মিয়াকে (৪৫) উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। অন্য আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।