এই পদ্ধতিতে পরিচালকদের ব্যবসাসংক্রান্ত চিন্তা থেকে বের করে আনা হয়, যেন তাঁদের মুনাফা লাভের দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক রেখে নতুন পরিকল্পনা, ধারণা তৈরি করেন এবং তা নিয়ম–শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে কাজে পরিণত করা সম্ভব হয়।
এই পদ্ধতি অনুসারে ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার জন্য ব্যাংকিং খাতে তাঁর বহুদিনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই খাত কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া এই স্বাধীন পরিচালকেরা প্রয়োজনীয় বাস্তবসম্মত ধারণা ও প্রযুক্তিগত কাজগুলো অন্য কার্যনির্বাহী পরিচালকদের কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। কেননা একটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম, গঠন ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাঁদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্নও হতে হবে। কেননা এর মধ্য দিয়ে অন্য সদস্যদের যুক্তি বা দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে কাজ করা সহজ হবে। এর পাশাপাশি বাইরের জগতের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ বা পরিচয় থাকলে এ ধরনের পরিচালকেরা বাজার, শিল্প ও মানুষের মিশ্রণে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানকে আরও সংহত করতে সক্ষম হন। যেহেতু পরিচালকেরা ব্যাংকের সঙ্গে সম্বন্ধের বন্ধনে যুক্ত নন, তাই তাঁরা সহজেই নানা প্রশ্ন তুলতে, এমনকি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। যার ফলে একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না কিংবা ভুলভ্রান্তির প্রতি যে প্রশ্ন ওঠে, তা শোধরানো যায়।
জেপি মর্গ্যান চেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে পেশাদারি ও খাত সম্পর্কে জ্ঞান, ব্যবসায়িক, আর্থিক দক্ষতা, উচ্চপর্যায়ের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এসবের উপস্থাপনার বৈচিত্র্যের ভারসাম্যের দিকে গুরুত্ব দেন। এই মূলনীতি মেনে নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনা, জেপি মর্গ্যান চেজ এবং এর ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞ লোকদের মধ্য থেকে আবার যাঁরা বিচারবুদ্ধি, অর্জন, সততা ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহী; পরিচালনা পর্ষদে তাঁদের নিয়োগ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার নীতি অনুসারে বলা হয়, বোর্ডের দুই–তৃতীয়াংশ সদস্য অন্তত স্বাধীন হবেন।