শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, মূল্যস্ফীতির হার ও অস্থিরতা উভয় বেড়েছে। ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে, সেই স্মৃতি অনেক দূরের। এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশে উঠেছে। তখন ছিল বৈশ্বিক খাদ্যসংকট। পরের বছর তা ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসে। এরপর ২০১০-১১ অর্থবছরে তা আবার ১০ দশমিক ৯ শতাংশে ওঠে। তবে এরপর ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি কমেছে।
২০২২ সালের জুনে বিশ্ববাজারে খাদ্য মূল্য ছিল ঐতিহাসিকভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেই সেই দাম ৩০ শতাংশ কমে যায়। ফলে বিগত সরকার যে বলত, এই মূল্যস্ফীতি আমদানিবাহিত, তার সঙ্গে এই বাস্তবতা মেলে না।
শ্বেতপত্র কমিটি মনে করছে, বিশ্ববাজারে খাদ্যমূল্য কমলেও দেশের বাজারে না কমার কারণ হলো, টাকার অবমূল্যায়ন, রিজার্ভ সংকটের কারণে আমদানিতে সীমাবদ্ধতা, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, বাজারের অব্যবস্থাপনা, করপোরেট মুনাফা বৃদ্ধির তাগিদ ইত্যাদি। এ ছাড়া নীতি সুদহার বৃদ্ধি করা সত্ত্বেও ব্যাংক ঋণের প্রকৃত সুদহার একটা সময় পর্যন্ত বাড়ানো হয়নি। ফলে মুদ্রানীতির প্রভাব বাজারে সেই অর্থে পড়েনি।
এই বাস্তবতায় মানুষকে স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে শ্বেতপত্র কমিটি। ২০২৫ সালে চরম দরিদ্র মানুষদের জন্য নগদ সহায়তা কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছে কমিটি। সেই সঙ্গে কর ছাড় দেওয়ার কথাও বলেছে তারা। শ্বেতপত্র কমিটি বলছে, মুদ্রানীতির রাশ টানা থেকে শুরু করে বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও নগদ সহায়তা বৃদ্ধি—এ রকম সমন্বিত পদক্ষেপের কথা বলেছে তারা।