সে বিবেচনায় বাংলাদেশ আরও একটি জটিল কেস স্টাডি। সমস্যাটি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাল্যবিবাহের সর্বাধিক হার বিচারে বাংলাদেশ এখনো দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। ইউনিসেফের ২০১৯ সালের একটি জরিপের (বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে–এমআইসিএস) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ তরুণীর বিয়ে হয়েছিল তাঁদের শৈশবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাল্যবিবাহের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে করেছিলেন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ৯ শতাংশে, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় এর হার আরও বেশি, ৪৪ দশমিক ৪।
এ বছরের আন্তর্জাতিক কন্যা দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ভবিষ্যতের জন্য মেয়েদের ভাবনা’ (গার্লস ভিশন ফর দ্য ফিউচার)। প্রতিবছর বাংলাদেশের জন্য দিনটি আত্মবিশ্লেষণের এবং কন্যাশিশুদের কণ্ঠ ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনার আরেকটি সুযোগ। তাই আমরা প্রশ্ন করতে চাই, আমাদের দেশে কেন এখনো বাল্যবিবাহের এত উচ্চ হার? নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন এবং আত্মনিয়ন্ত্রণে কেন ছেলেদের তুলনায় কন্যাশিশুরা এত পিছিয়ে থাকছে?