কক্সবাজারের রামুতে আবদুল মন্নান (২৬) নামের ডাকাতদলের এক সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী।
রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল মন্নান একই এলাকার মছন আলীর ছেলে।
রামু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, সকালে স্থানীয় এক যুবতীর বাড়িতে ঢুকে ডাকাত আবদুল মন্নান ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই যুবতীকে ছুরিকাঘাত করে। পরে যুবতীর চিৎকার শুনে আশপাশের প্রতিবেশীরা জড়ো হন।
তিনি বলেন, এসময় পালিয়ে গিয়ে আবদুল মন্নান স্থানীয় একটি পাহাড়ের ঝোপজঙ্গলে লুকিয়ে থাকে। পরে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী পাহাড়টি ঘেরাও করে তার খোঁজ নিতে থাকে। পরে তার সন্ধান পেলে গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শক মোহাম্মদ ফরিদ বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বাবা ও আরও তিনভাইও ডাকাতিতে জড়িত।
স্থানীয় খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম ফরিদ বলেন, মছন আলী ও তার ছেলেদের একটি সশস্ত্র ডাকাত বাহিনী রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছে। স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
গত শুক্রবার স্থানীয় গ্রামবাসী ডাকাত মছন বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ বিক্ষোভের দুইদিনের মাথায় গণপিটুনিতে মারা গেল আবদুল মন্নান।