৫৭ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট তুলে নিয়ে অল্পতেই আটকানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে সেটা না হলেও রানটা টাইগারদের নাগালেরও বাইরে যায়নি। প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ২৮০ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার অধিনায়ক সিলেটের বাউন্সি পিচের সুবিধা আদায় করে নিতে যে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা বোঝাই যায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নিশান মাদুশকাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন খালেদ। তার বলে স্লিপে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪০ রান পর্যন্ত। কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ নেন জাকির হাসান। ঐ ওভারেই দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করেছেন খালেদ।
এদিন উইকেট থেকে দারুণ সুইং আদায় করে নিয়েছেন খালেদ। মেন্ডিসকে ফেরানো ওভারেই করুণারত্নেকে বোল্ড করেন ডানহাতি এ পেসার। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ফিরেছেন রান আউটের হতাশা নিয়ে। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ৫ রান করেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
উইকেট থেকে দারুণ সুইং আদায় করে নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। যার সুফল পেয়েছেন তিনি। দিনেশ চান্দিমালকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। অভিষেকেই গতির ঝড় তুলেছেন নাহিদ রানা। কামিন্দু মেন্ডিসকে সাথে নিয়ে অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ইনিংস মেরামতের দিকে নজর দিয়েছেন। দুজনেই ওয়ানডে স্টাইলে এদিন ব্যাটিং করেছেন। খালেদ-শরীফুলদের বাজে বল পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি।
ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু দুজনই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। কামিন্দু টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটি পেয়েছেন ১২৬ বলে আর ধনাঞ্জয়ার শতক করতে লেগেছে ১২৭ বল। এরপরই দুজনকে ফিরিয়েছেন নাহিদ। তার আগে দুজনে মিলে গড়েছেন ২০২ রানের জুটি। নিজের পরের ওভারেই প্রভাত জয়াসুরিয়াকে উইকেটের পেছনে লিটন দাশের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন নাহিদ।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন শরীফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।