বড় জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

বড় জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

ঢাকাপ্রতিদিন ক্রীড়া ডেস্ক : অধিনায়ক লিটন দাস ও শামীম হোসেনের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতা ফেরাল সফরকারী বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮৩ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকদের। টি-টোয়েন্টিতে রান বিবেচনায় লঙ্কানদের বিপক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের।

পাশাপাশি ছয় ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯ মোকাবেলায় সপ্তম জয় টাইগারদের। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল টাইগাররা।

ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি পারভেজ হোসেন। ৮ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন তানজিদ হাসান।

২ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান পায় বাংলাদেশ। নবম ওভারে দলের রান হাফ-সেঞ্চুরিতে নেন তারা।

দশম ওভারে ব্যক্তিগত ৩২ রানে স্টাম্পিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পান লিটন। ১২তম ওভারে হৃদয়কে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন শ্রীলংকার বিনুরা ফার্নান্দো। ওই ওভারেই মেহেদি হাসান মিরাজকেও শিকার করেন বিনুরা। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে ৩১ রান করেন হৃদয়। ১ রানে থামেন মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে লিটনের সাথে ৫৫ বলে ৬৯ রান যোগ করেন হৃদয়।

৭৮ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর বাংলাদেশের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন লিটন ও শামিম। এসময় ছক্কা মেরে ৩৮ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১২তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১৩ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশতকের দেখা পেলেন লিটন। সর্বশেষ গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন।

লিটনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১১৫। এরপর শ্রীলংকার বোলারদের উপর চড়াও হন লিটন ও শামীম।

১৬ থেকে ১৮ ওভার পর্যন্ত ৪০ রান তুলেন লিটন ও শামীম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে মহেশ থিকশানার বলে সাজঘরে ফিরেন লিটন। ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫০ বলে ৭৬ রান করেন লিটন।

ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন শামীম। ৫ চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে ৪৮ রান করেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে লিটন-শামীমের ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বিনুরা ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৮ রানে রান আউট হন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। এরপর জোড়া উইকেট তুলে নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। কুশাল পেরেরাকে শূন্য ও আভিস্কা ফার্নান্দোকে ২ রানে সাজঘরে পাঠান তিনি।

শরিফুলের সাথে উইকেট শিকারে মাতেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কাকে ৫ রানে বিদায় দেন সাইফুদ্দিন। এতে ৩০ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

পঞ্চম উইকেটে ৩১ বলে ৪১ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। ১১তম ওভারে নিশাঙ্কাকে ৩২ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। ওই ওভারেই নতুন ব্যাটার চামিকা করুনারত্নকে খালি হাতে ফেরত পাঠান রিশাদ।

৭১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর বেশি দূর যেতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা।

রিশাদ ১৮ রানে ৩টি, শরিফুল-সাইফুদ্দিন ২টি করে উইকেট নেন।

আগামী ১৬ জুলাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর

 

Scroll to Top