স্বল্পদৈর্ঘ্য বা ছোট ছবির কান উৎসব হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ফ্রান্সের ক্লেমোঁ-ফেরঁ ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভাল। আসন্ন ৪৭তম এই উৎসবে এবার নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশি নির্মাতা রাজীব রাফির ছবি ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন উয়ারী বটেশ্বর’।
চ্যানেল আই অনলাইনকে রাজীব রাফি জানান, উৎসবে ‘ল্যাব কম্পিটিশন’ বিভাগে মনোনীত হয়েছে ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন উয়ারী বটেশ্বর’। এই বিভাগে ইতালি, ফ্রান্স, মেক্সিকো, জাপান, সুইজারল্যান্ড, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের মোট ২৬টি সিনেমা দেখানো হবে।
পৃথিবী শ্রেষ্ঠ ছোট ছবির এই উৎসবটি শুরু হচ্ছে আগামি ৩১ জানুয়ারি, চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাফি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন এই তরুণ নির্মাতা।
‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন উয়ারী বটেশ্বর’ ছবিটির পুরোটাই ড্রোন ব্যবহার করে শুটিং করা হয়েছে বলে জানান রাফি। কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা ঘোস্ট লাইক পারসেপশন তৈরী করতেই ড্রোন ব্যবহার করা। মুর্দ্দা কথা, অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্করের মধ্যে এক জাদু বাস্তবতাময় ভিজ্যুয়াল একটা জার্নি তৈরী করতেই এমনভাবে শুট পরিকল্পনা।”
ছবিটিকে এক্সপেরিমেন্টাল ন্যারেটিভ বলছেন রাফি। তিনি বলেন, ‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন উয়ারী বটেশ্বর’ ছবিটি এক্সপেরিমেন্টাল, কিন্তু একটা ন্যারেটিভ ফ্লো ও আছে। আবার এটিকে ডিটেক্টিভ ফিকশনও বলা যায়। এটা এ কারণে বলছি, ডিটেক্টিভ গল্প মানেই মিসিং পারসনকে খোঁজার গল্প। আমার ছবিতেও এই ট্রেড ব্যবহার করেছি, কিন্তু একটু এক্সপেরিমেন্ট ফর্মে।
রাফি জানান, বাংলাদেশের প্রাচীনতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির মধ্যে একটি উয়ারী-বটেশ্বরের অদেখা জনপদ ও মানুষের গল্প বলেছে ছবিটি। পরিচালনার পাশাপাশি ছবির গল্পও লিখেছেন রাজীব রাফি নিজেই। ছবির চিত্রনাট্য যৌথভাবে তৈরী করেছেন রাফি ও তোতো তীমথিয়। রাফি বলেন, গত বছরের শেষের দিকে শুট করেছি, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করতে এ বছরের মাঝামাঝি হয়ে যায়। ছবিটির দৈর্ঘ্য ১৫ মিনিট!
খনা টকিজ প্রডাকশনের ব্যানারে নির্মিত ছবিটির প্রযোজনা করেছেন আশিক মোস্তফা। সহ প্রযোজক হিসেবে আছেন আদনান আহমেদ। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ নিলয়, শৈলেন পল, সাবিকুন্নাহার কাঁকন, শ্যামল শিশির, তোতো তীমথিয়, দীপঙ্কর দীপ, এমডি জনি এবং নাজিম উদ্দিন।
‘ওয়ানস আপন এ টাইম ইন উয়ারী বটেশ্বর’ ছবিটি রাজীব রাফির প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর আগে ২০১৯ সালে রাজীব রাফির লেখা চিত্রনাট্যে অং রাখাইনের ‘দি লাস্ট পোস্ট অফিস’ চলচ্চিত্রটিও একই উৎসবে দেখানো হয়।
ছবির দৃশ্যধারণে চিত্রগ্রাহক মাজহারুল রাজু, প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন গোলাম দাইয়ান কিম, ড্রোন অপারেটর শেখ সমুদ্র, সম্পাদনায় কিসলু গোলাম হায়দার, শিল্প নির্দেশনায় সাদ্দাম খন্দকার জয়, পোশাক পরিকল্পনায় পূজাঞ্জলি চৌধুরী, সাউন্ড ডিজাইনে শাকির আহমেদ অন্তু, মিউজিক করেছেন রায়হান রিজওয়ান, লোকেশন সাউন্ড করেছেন সাজ্জাদ আহমেদ, সাউন্ড ডিজাইন সুপারভাইজ করেছেন পিউ এম. জেসমিন এবং কালার গ্রেডিংয়ে হিমেল সাহা ও রিজওয়ান রিফাত।