৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের অনবদ্য জুটিতে চাপ কাটিয়ে সংগ্রহ বাড়ানোর দিকে ছুটছিল বাংলাদেশ। ১০১ রানের জুটি গড়ে শার্দূল ঠাকুরের বলে ফিরেছেন সাকিব। পরের ওভারে শামীম পাটোয়ারীর উইকেট হারিয়ে ফের চাপে বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সাকিব-হৃদয় জুটিতে চাপ কাটিয়ে তোলে বাংলাদেশ। ৩৩.১ ওভারে দলীয় ১৬০ রানে শার্দূল ঠাকুরের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক।
পরের ওভারে জাদেজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন শামীম। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া দিলে রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি সাতে নামা ব্যাটারের। ৫ বলে ১ রান করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৩৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান। তাওহিদ হৃদয় ৪১ ও নাসুম আহমেদ ৭ রানে ক্রিজে আছেন।
আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটে নেমে শুরুতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয়।
তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ শামির বলে কোনো রান না করে বোল্ড হন লিটন। উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ব্যাট-প্যাডের মাঝে বড় ফাঁকটা ছিল দৃষ্টিকটু।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা তানজিদ তামিম স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন। তিন বাউন্ডারি মেরে ইনিংস বড় করার আশা দেখান। শার্দূল ঠাকুরের অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট বল ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। তার ব্যাটের নিচের কানায় লেগে স্টাম্প উপড়ে যায়। ১২ বলে ১৩ রানে শেষ হয় ইনিংস।
৫.৪ ওভারে শার্দূলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লোকেশ রাহুলের গ্লাভসবন্দি হন চার রান করা বিজয়। ১৪তম ওভারের শেষ বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন মিরাজ। ২৮ বলে ১৩ রান করে যান।
৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসানের ফিফটি ও তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে অনবদ্য জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
২৫.৪ ওভারে অক্ষর প্যাটেলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটি পূর্ণ করেন সাকিব। ৬৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। ঘুরে দাঁড়ানোর নেতৃত্বে সেঞ্চুরি না করেই ফেরেন সাকিব।