ফাঁকা মাঠে বজ্রপাত…! কীভাবে বাঁচাবে প্রাণ? ছোট্ট এই টিপস মানলেই কেল্লাফতে, বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত

ফাঁকা মাঠে বজ্রপাত…! কীভাবে বাঁচাবে প্রাণ? ছোট্ট এই টিপস মানলেই কেল্লাফতে, বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত

Last Updated:

একান্তই জমিতে কাজ করা কালীন বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা কমান সম্ভব।

+

ফাঁকা মাঠে বজ্রপাত…! কীভাবে বাঁচাবে প্রাণ? ছোট্ট এই টিপস মানলেই কেল্লাফতে, বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত

বজ্রবিদ্যুৎ

বাঁকুড়া: বর্ষার ধান সাধারণত আউশ ধান নামে পরিচিত। এটি বর্ষাকালে আষাঢ় মাসে (জুন-জুলাই) রোপণ করা হয়। বর্ষাকালে ইতিমধ্যেই শুরু ধান লাগান। তবে এরই মধ্যে, বাঁকুড়া জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন নয় জন! এই নয়জনের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন কৃষক। তবে কী আউশ ধান লাগাতে গিয়ে প্রাণ হারতে হবে কৃষকদের? বর্ষার সময় কী ধান লাগান সবচেয়ে উপযুক্ত নাকী অপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয়? এসব প্রশ্ন সাধারণ কৃষকের মনে আসতেই পারে। কার্যত সাধারণ জেলাবাসী থেকে শুরু করে কৃষকরা রীতিমত আতঙ্কিত।

এই প্রশ্নের উত্তরে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত জানালেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কালো মেঘ ঘনিয়ে এলে, মাঠে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে একান্তই জমিতে কাজ করা কালীন বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা কমান সম্ভব। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বলেন, জমির আশেপাশে কোনও ঘর থাকলে অবশ্যই সেই ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিতে হবে।

তবে একান্তই সেটা সম্ভব না হলে হাঁটু গেড়ে, গোড়ালি তুলে, মাথার পিছনে দুই হাত রেখে যতটা সম্ভব নুয়ে পড়তে হবে। এই পশ্চার মেইনটেইন করলে, বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায় এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এই পশ্চারটি। প্রকৃতির সঙ্গে একান্ত হয়ে যাওয়ার একটা বার্তা জানিয়েছেন বাঁকুড়া জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

এছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে আগাম কেমন আবহাওয়া থাকবে সেটিও জেনে নেওয়া সম্ভব কৃষকদের জন্য। আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাস থাকলে বজ্রবিদ্যুৎ সম্পন্ন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় এড়িয়ে যাওয়া যায় খুব সহজেই।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Scroll to Top