এসপিএফ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর), আমাদের ত্বককে ইউভিবি রশ্মি থেকে কতটা সুরক্ষা দেওয়া যাচ্ছে। যেমন, রোদে বের হলে যদি ত্বক ১০ মিনিটে পুড়ে যায়, এসপিএফ ৩০ ব্যবহার করলে সেটা অনেকটা ৩০০ মিনিট পর্যন্ত রক্ষা করতে পারে তবে এটা নির্ভর করে ত্বক, আবহাওয়া এবং স্থানের উপর। কিন্তু এখানেই আমাদের অনেকেই একটু বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। আমরা মনে করি উচ্চতর এসপিএফ মানে অনেক ভালো সুরক্ষা কিন্তু আসলে তা নয়।
এসপিএফ ৩০ প্রায় ৯৭% ইউভিবি রশ্মি ব্লক করে এবং এসপিএফ ৫০ প্রায় ৯৮% ইউভিবি রশ্মি ব্লক করে। এটি ১% এর সামান্য পার্থক্য তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমরা এটা কতো পরিমাণ প্রয়োগ করি এবং কিভাবে ব্যবহার করি , সুরক্ষিত থাকার আসল চাবিকাঠি কিন্তু এটাই। এসপিএফ ১০০ প্রয়োজনীয় নয়, এটি সারা দিন স্থায়ী হয় না বা জাদুকরী কভারেজ দেয় না। এসপিএফ ৩০-৫০ সাধারণত দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সেরা।
সানস্ক্রিন ইউভি রশ্মি শোষণ করে আমাদের ত্বককে সুরক্ষা দেয়। মিনারেল সানস্ক্রিন ত্বকের উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি প্রতিফলিত ও কিছুটা ছড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, কেমিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকের ভেতরে ঢুকে ইউভি রশ্মি শোষণ করে এবং তা তাপ হিসেবে মুক্ত করে।
এছাড়াও, আপনার সানস্ক্রিনটি ব্রড-স্পেকট্রাম বা পিএ+++ লেবেলযুক্ত কিনা তা চেক করতে ভুলবেন না। এর মানে হল এটি ইউভিবি রশ্মি (যা ত্বক পুড়িয়ে দেয়) এবং ইউভিএ রশ্মি (যা বার্ধক্য এবং গভীর ক্ষতির কারণ হয়) উভয়ের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেয়। তাই উচ্চ এসপিএফ সংখ্যার পিছনে না ছুটে, ব্রড-স্পেকট্রামযুক্ত সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া এবং প্রতিদিন ২ ঘণ্টা পরপর ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ।
আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি অন্তত এসপিএফ ৩০ ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের মতো আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য এসপিএফ ৫০ কার্যকরী। এটা ত্বককে রোদের দাগ- ট্যানিং, পিগমেন্টেশন এমনকি বয়সের ছাপ থেকেও বাঁচায়।
অনেকেই কোরিয়ান বা বিদেশি ব্র্যান্ড পছন্দ করে কারণ তাদের প্রোডাক্ট কোয়ালিটিতে ভালো। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এতো দামি প্রোডাক্ট কেনা সহজ হয়ে উঠে না। এমন কিছু যা মানে ভালো হবে আবার বাজেটেও কম হবে। অনেক প্রোডাক্ট দেখার পর স্কিন ক্যাফে সান্সক্রিন এর কথা। তারপর সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখলাম বেশ আলোচনায় এ প্রোডাক্ট। এটা যেন আমাদের জন্যই তৈরি -লাইট, সহজে মিশে যায়, ত্বকে কোনো চিপচিপে ভাব নেই, সাদা ছোপ ফেলে না আর দামটাও একদম সাধ্যের মধ্যে।
স্কিন ক্যাফেতে– প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি যেমন কোল্ড প্রেস তেল, হেয়ার-মাস্ক, বোটানিকাল এক্সট্র্যাক্ট এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট পাওয়া যায়,যা বিজ্ঞান এবং ট্র্যাডিশনাল ফর্মুলা দিয়ে তৈরি। তারা সবসময় ত্বকের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেয়। তারা দেশের অন্যতম ব্র্যান্ড যারা নিজস্ব মেকআপ লাইন আর সানস্ক্রিন শুরু করেছে। তাদের প্রোডাক্ট অনলাইনে এবং ১৫,০০০-এরও বেশি স্টোরে পাওয়া যায়।
তাদের জনপ্রিয় পণ্য—স্কিন ক্যাফে সানস্ক্রিন এসপিএফ ৫০ পিএ+++ লাইটওয়েট,ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড, সব স্কিন টাইপে মানিয়ে যায় এবং রোদের ক্ষতিকর ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মির ৯৮% পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে। স্কিনকেয়ার নিয়ে তারা কোনো জাদুর প্রতিশ্রুতি দেয় না বরং তারা বিশ্বাস করে যে ভালো অভ্যাস, নিয়মিত পরিচর্যা আর সঠিক পণ্য ব্যবহারে ত্বক সুন্দর ও সুস্থ থাকে।