নারীদের ক্যাম্প হোক কিংবা ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্ট, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটই ভেন্যু। পতিচিত এই কন্ডিশনকে নিজেদের বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখেছিল অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ (৩ অক্টোবর) দাঁড়াতেই পারেনি টাইগ্রেসরা। ম্যাচ শেষে অলরাউন্ডার সালমা খাতুন দুষলেন উইকেটের অপরিচিত আচরণ ও আগের রাতের বৃষ্টিকে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড- ২ এ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে গুটিয়ে যেতে হয়েছে ৭০ রানে। যা ১২.২ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় পাকিস্তান।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার ছায়া ছিল টাইগ্রেসদের ফিল্ডিং-বোলিংয়েও। পড়েছে সহজ ক্যাচ। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় সালমা দিয়েছেন উইকেট আর বৃষ্টির অজুহাত।
তার ভাষ্য, ‘উইকেটটা আলাদা ছিল। অনেক টার্ন হয়েছে। আগের ম্যাচে কিন্তু এমন ছিল না। প্রথম ওভারেই একটা উইকেট পড়ে গিয়েছে যে কারণে চাপটা আরও বেড়ে গিয়েছে। উইকেটটা এরকমই ছিল যেহেতু কালকে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। ব্যাটাররা কেউ দাঁড়াতে পারেনি। এ কারণেই আমাদের আমাদের রান এত কম হয়েছে।’
বাংলাদেশ শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। ইনিংসের পঞ্চম বলে উইকেট পড়ে। ৩ রানেই হারায় ৩ উইকেয়াত। পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ১২ রান।
অধিনায় জ্যোতির ১৭ ও সালমার অপরাজি ২৪ রানে ৭০ রান পর্যন্ত যাওয়া গেছে। তবে কাজেত কাজ হয়নি।
এ নিয়ে সালমা যোগ করেন, ‘আসলে আমাদের যেহেতু দ্রুত দুটি উইকেট পড়ে গেছে, এ জন্য জুটি গড়ার পরিকল্পনা ছিল সিঙ্গেল খেলার ওপরে। হয়তো ব্যাটাররা ওটা করতে পারেনি, আরও কয়েকটা উইকেট পড়ে গেছে।’
‘যখন দ্রুত দুটো উইকেট টানা পড়ে যায় তখন কিন্তু অ্যাপ্রোচ এমনিতেই একটু বদলাতে হয়। সেটা শুধু আমাদের বিষয় না, যেকোনো দলের বিপক্ষেই এটা হয়। ওই সময় পরিকল্পনা একটু বদলায়। যারা ব্যাট করে তারাই পরিকল্পনা করে’
সিলেটে রাতের অধিকাংশ সময়ই বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমনিতেই সকালে বোলারদের জন্য উইকেট থাকে কার্যকর। টস ভাগ্য ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে দেয়। টস হেরে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সালমা বলেন, ‘আসলে দুটা (আগে ব্যাটিং-আগে বোলিং) নিয়েই প্রস্তুত থাকতে হয়। টসের ওপর নির্ভর করে আমি বলতে পারবো না। টস কে জিতবে সেটা তো কেউ জানে না।’