নাহিদ মিয়ার বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। আর সুরমার বাবার বাড়ি বরগুনার আমতলীতে। দেড় বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। ঢাকার লালবাগ এলাকার একটি স্টিলের ফার্নিচারের কারখানার শ্রমিক নাহিদ। এটা তাঁদের প্রথম সন্তান। জুনের শেষে সুরমার সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রখর রোদে পদ্মার চর দিয়ে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটার সময় প্রসববেদনা ওঠে। তখন মাঝিকান্দি চরের বাসিন্দারা তাঁদের পাশে দাঁড়ান। ওই গ্রামের নারীদের সহায়তায় সুস্থভাবেই সুরমা সন্তান প্রসব করেন।
হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দম্পতির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। তিনি তাঁদের অভিনন্দন জানান, চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন। আর পদ্মা নদীর চরে সন্তান প্রসব হওয়ায় তার নাম রাখেন ‘পদ্মা’। সানন্দে তা মেনে নেন নাহিদ ও সুরমা দম্পতি।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এক নারী চরের মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন, এমন খবর পেয়ে নৌ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এখন তাঁরা দুজনই সুস্থ আছেন।