দ্বিতীয় মস্তিষ্ক আদতে কোনো জাদুকরি কিছু নয়। এটি আমাদের জ্ঞান ও তথ্যগুলোকে সুন্দরভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার একটি পদ্ধতি। মার্কিন প্রোডাকটিভিটি বিশেষজ্ঞ তিয়াগো ফোর্তে এই ধারণা জনপ্রিয় করে তুলেছেন। মূল কথা হলো, আমরা প্রতিদিন যেসব তথ্য পড়ি, শুনি বা দেখি, তার মধ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ও কাজের, সেসবকে এমনভাবে সাজিয়ে রাখা, যাতে পরে প্রয়োজনের সময় সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার বলে রাখা ভালো—দ্বিতীয় মস্তিষ্কের উদ্দেশ্য এই নয় যে আপনি জীবনে যা কিছু জানেন বা শিখেছেন, সবকিছুর একটা নিখুঁত আর্কাইভ তৈরি করবেন। এর লক্ষ্য হলো এমন একটি জ্ঞানের সংগ্রহ গড়ে তোলা, যা আপনার জন্য অর্থবহ, মূল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক। নিয়মিত জ্ঞান সংরক্ষণ ও পর্যালোচনার অভ্যাস গড়ে তোলাই এর মূল কথা। এতে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পাওয়া যায়।
বর্তমান যুগে আমরা অবিরাম নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। ইন্টারনেট, বই, পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টিভিসহ নানানভাবে হাজারো তথ্য আমাদের মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। কিন্তু আমাদের প্রাকৃতিক মস্তিষ্ক এই বিপুল তথ্য মনে রাখতে ও পরে উদ্ধার করতে পারে না। এই সমস্যার সমাধানই হলো দ্বিতীয় মস্তিষ্ক। এর কিছু উপকারিতা তো আছেই। চলুন, সেসব জানা যাক।