পাকিস্তানের সংগ্রহটা আরও কম হতে পারত, যদি প্রথম ওভারে শেখ মেহেদীর বলে শর্ট ফাইন লেগে ফখর জামানের ক্যাচটা ছেড়ে না দিতেন তাসকিন আহমেদ। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন তাসকিন। এরপর দাপুটে বোলিংয়ে পাকিস্তানকে চেপে ধরে টিম টাইগার্স। ৫০ রানের আগেই তুলে নেয় ৫ উইকেট। শেষ অবধি সফরকারীদল বাংলাদেশকে ১১১ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে জীবন পেয়ে পাকিস্তানকে ঝড়ো শুরু এনে দেন ফখর। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আঘাত হানে বাংলাদেশ। পঞ্চম বলে তাসকিনের ব্যাক অব লেন্থের ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন সাইম আইয়ুব। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। সাইম করেন ৪ বলে ৬ রান।
এরপর ফখর জামান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। একে একে ফিরে যান মোহাম্মদ হারিস (৩ বলে ৪), সালমান আঘা (৯ বলে ৩), হাসান নেওয়াজ (৪ বলে ০) ও মোহাম্মদ নেওয়াজ (৫ বলে ৩)।
৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহকে নিয়ে হাল ধরেন ফখর। তবে জুটি লম্বা করতে পারেননি। ২৩ বলে ২৪ রান তোলার পর জুটি ভাঙে। রানআউট হয়ে ফিরে যান ফখর জামান। তার আগে ৬টি চার ও এক ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন। পাকিস্তান ব্যাটারদের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ।
৭০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পরে খুশদিল ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে যোগ করেন ২৭ বলে ৩২ রান। ১৬.২ ওভারে দলীয় ১০৩ রানে খুশদিলকে ফেরান মোস্তাফিজ। একটি করে চার ও ছক্কায় ২৩ বলে ১৭ রান করেন। এরপর শেষ ওভারে তিন বলেই তিন উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। একটি রানআউট হওয়ায় হ্যাটট্রিক হয়নি তাসকিনের। আব্বাস আফ্রিদি ৩ ছক্কায় ২৪ বলে ২২ রান করেন।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দারুণ করেন মোস্তাফিজ। রেকর্ডও গড়েন টাইগার পেসার। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ১ ইনিংসে সবচেয়ে কম ইকোনোমি রেটে বল করার রেকর্ড এখন তার। ৪ ওভারে ৬ রানে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। তার আগে ৪ ওভার বল করে সর্বনিম্ন ৭ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন।
তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ২২ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব নেন একটি করে উইকেট।