দাঁতের সমস্যা ও তার প্রতিকার

দাঁতের সমস্যা ও তার প্রতিকার
দাঁতের সমস্যা ও তার প্রতিকার

স্বাস্থ্য ডেস্ক: দাঁত নিয়ে ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। অনেকের ছোটবেলায় দাঁতের সমস্যা থাকে না। তার মানে এই নয় যে, পরিণত বয়সে সমস্যা হবে না। দাঁতের অধিকাংশ সমস্যাই স্থায়ী। এক বার সমস্যা দেখা দিলে তা থেকে দাঁত বাঁচানো কঠিন। তাই বয়স ৩০ পেরোলে দাঁতের সমস্যা কোনও মতেই অবহেলা করা চলবে না। ব্যবস্থা নিতে হবে তৎক্ষণাৎ।

দাঁতের পোকা

দাঁতে পোকা বলে কিছু হয় না। দাঁতের ক্যাভিটির দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা না হলে দাঁতের ব্যথা শুরু হয়। চলতি কথায় একেই দাঁতের পোকা বলে। ক্যাভিটি হল দাঁতের ছিদ্র। দাঁত ঠিক মতো পরিষ্কার না করলে এই সমস্যা বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বাড়ে সমস্যা। দাঁতের গোড়া পর্যন্ত চলে গেলে ব্যথা হয়। ক্যাভিটির মধ্যে খাবারের কুচি ঢুকে যায় অনেক সময়ে। সেই খাবার পচে গিয়ে দাঁতের ক্ষতি হয়। তাই দিনে দু’বার অবশ্যই দাঁত মাজতে হবে।

রক্তপাত

অনেক সময়ে দাঁতের মাড়ি ফুলে গিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। যে কোনও অঙ্গ থেকেই রক্ত পড়া ভাল লক্ষণ নয়। তাই এ ক্ষেত্রে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে এক্স-রেও করা যেতে পারে।

ফিলিং

দাঁতের মধ্যে তৈরি হওয়া এই ছিদ্র ছোট হলে ফিলিংয়ের মাধ্যমে সহজেই বন্ধ করা যেতে পারে সমস্যা। ফিলিং খাবার ঢোকা আটকায়। ফিলিংয়ের মাধ্যমে ক্যাভিটিকে আর বাড়তে না দিয়ে সেই জায়গাটিকে ভরাট করে দেওয়া হয়।

দাঁত তুলে সে জায়গায় নতুন দাঁত বসানো যায় কি?

দাঁত তুলে সেই জায়গায় মূলত তিন ভাবে নকল দাঁত বসানো যায়। প্রথমত অস্থায়ী নকল দাঁত লাগানো যেতে পারে। এই দাঁত ইচ্ছে মতো খুলে ফেলা যায়। কিন্তু তিরিশেই এই ধরনের দাঁত লাগানো একটু ঝক্কির। চাইলে স্থায়ী নকল দাঁতও লাগানো যায়, যা এক বার লাগিয়ে দিলে আর খোলার দরকার হয় না। এ ছাড়া ডেন্টাল ইমপ্লান্টের মাধ্যমে নতুন তৈরি করা দাঁত বসানো যায়। তবে কোনটি আপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত, তা বলতে পারবেন দন্ত্য চিকিৎসকই।

দাঁত মাজবেন কী ভাবে?

সকালে উঠে দাঁত মাজার থেকেও বেশি জরুরি রাতে খাওয়ার পর দাঁত মাজা। রাতে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে অবশ্যই দাঁত মজুন। তবে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। তিন মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত।

Scroll to Top